রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিলগ্নিকরণের পথে মোদি সরকার
আয় বাড়াতে বিলগ্নিকরণেই ভরসা মোদি সরকারের। চলতি আর্থিক বছরের গোটা ৬ মাস বিলগ্নিকরণের বড়সড় কোনও পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে পারেনি। এয়ার ইন্ডিয়া থেকে ভারত পেট্রলিয়াম কিংবা একঝাঁক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, বিলগ্নিকরণের তালিকা দীর্ঘ। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর নীতি আয়োগ ও অর্থমন্ত্রককে বলেছে যাতে বিলগ্নিকরণের উদ্যোগকে দ্রুত করা হয়। কারণ, শুধু এই তালিকাই নয়, আগামীদিনে আরও বিলগ্নিকরণের প্ল্যান রয়েছে। সেই তালিকায় আসতে চলেছে হিন্দুস্তান কপার লিমিটেড। কলকাতায় সদর দপ্তর থাকা এই সংস্থারও বিলগ্নিকরণ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। ২০২০-২১ আর্থিক বছরের মধ্যে ২ লক্ষ কোটি টাকার একটি টার্গেট নেওয়া হয়েছে বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে আয়ের। করোনা ও লকডাউনের সময় কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। গরিব কল্যাণ যোজনা থেকে আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজ। এই অর্থের সংস্থান করার জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন। তাই কেন্দ্র আরও. বিলগ্নিকরণে উৎসাহী।
রেল টেল কর্পোরেশনের ২৭ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করার কথাও ভাবা হয়েছে। আগামী ২৭ অক্টোবর নীতি আয়োগে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে বিলগ্নিকরণ নিয়ে আলোচনা হবে। এখনও পর্যন্ত সরকার ২০ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে বিলগ্নিকরণ রুটে। এই আর্থিক বছরে যে ২ লক্ষ কোটি টাকার বিলগ্নিকরণ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে না সেটা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকও বুঝেছে। বিলগ্নিকরণের উদ্যোগে জোর দেওয়ার কারণ সরকার কোনওমতেই বাজার থেকে ঋণ গ্রহণের সীমা বাড়াতে চায় না। কেন্দ্র স্থির করেছে ১২ লক্ষ কোটির মধ্যেই রাখা হবে বাজার থেকে ধার করার সীমা। প্রভূত ব্যয় বৃদ্ধির পরও সেই ঋণগ্রহণের সীমা না বাড়িয়ে কীভাবে রাজস্ব আয় বাড়ানো যায় সেই চেষ্টাই করবে বলে স্থির করেছে অর্থমন্ত্রক। ওই লক্ষ্যপূরণের সবথেকে বড় ভরসা বিলগ্নিকরণই।