নেই সামাজিক দূরত্ব, কোর্টের রায়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাংলায় পুজো উদ্বোধন মোদীর
মহাষষ্ঠীর সকালে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কিন্তু, কোর্টের রায়ে যখন ১০ কোটি বাঙালি পুজো কাটাচ্ছেন ঘরে বসে, তখন বিজেপির এই অনুষ্ঠানে দেখা গেল ৬০ জনের অনেক বেশি লোক। তাঁরা স্টেজে এমনভাবে ঠেসে দাঁড়িয়েছেন যে করোনারও অক্সিজেন নিতে বোধকরি সমস্যা হবে। করোনার দোহাই দিয়ে উত্তর প্রদেশে দুর্গা পুজো বন্ধ করা এই দলের অনেক নেতাই ঘেঁষাঘেঁষি অবস্থাতেও মাস্ক পরেছিলেন থুতনিতে।
পাশাপাশি, হাই কোর্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে। কিন্তু এখানে রমরমিয়ে হল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া, শাস্ত্র অনুসারে মা দুর্গার বোধন হয় সায়াহ্নে, সেখানে কোন বিধানে ভর দুপুরে অনুষ্ঠিত হল বোধন, উঠছে প্রশ্ন।
অনলাইন অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্রসংগীত গান বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। অনেকেই বলছেন, আজকের পুরো অনুষ্ঠানে মা দুর্গার কোনও প্রতিমা নজরে এলো না। অনুষ্ঠান জুড়েই শুধু ছিলেন মোদি। তবে কি এটা মোদি বন্দনার উৎসব হল?
বাংলার মানুষের উদ্দেশে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদী বলেন, ‘প্রথমেই আপনাদের সকলকে জানাই শ্রীশ্রী দুর্গাপুজো ও শ্রীশ্রী কালীপুজো ও দীপাবলি উপলক্ষে আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আজ আপনাদের মাঝে এই শুভলগ্নে আসতে পেরে আমি আনন্দিত বোধ করছি। মানুষের উৎসাহ দেখে মনে হচ্ছে, দিল্লি নয় কলকাতায় আছি। পুজোর সময় গোটা দেশ বাংলাময় হয়ে যায়। দুর্গাপুজো শুধুমাত্র বাঙালির নয়, সমগ্র ভারতবাসীর উৎসব।’
তিনি বলেন, এই করোনা প্রকোপের মাঝে দুর্গাপুজোর মতো বিশালাকারের উৎসবে বাংলার মানুষ প্রবল সংযমের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটাই বাংলার চেতনার প্রকাশ, ববাংলার মননের পরিচায়ক। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলায় বরাবর সনাতন ধর্ম পরম্পরা বজায় রয়েছে। বাংলার মানুষ চিরকাল দুর্গাকে নিজের কন্যারূপে দেখেছেন। নিজের বাড়িতে তাঁকে মেয়ের মতো সম্মান ও আদরযত্ন করেছেন। নবরাত্রিতে তাঁর পুজো করেছেন। মা দুর্গার পুজো সাক্ষাৎ শক্তির সাধনা। তিনি দুর্গতিনাশিনী। সমস্ত বিপদ থেকে তিনি আমাদের রক্ষা করেন। মহিষাসুরের দলন যেমন তিনি করেন, তেমনই এই অতিমারী থেকেও আমাদের তিনিই রক্ষা করার শক্তি জোগাবেন।’