বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

অ্যাক্রেলিক পেন্টিং দেখেছেন! চেনেন শিল্পী শম্ভু প্রসাদ রায়কে?

October 24, 2020 | 3 min read

অ্যাক্রেলিক পেন্টার শম্ভু প্রসাদ রায়

শম্ভু প্রসাদ রায়, পেশায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মী। সুগার আছে, কোমরের ব্যথা আছে, বয়স বছর ৪৫। কিন্তু, তাঁর অন্য পরিচয় তিনি একজন নামকরা চিত্রশিল্পী। অনেক প্রদর্শনী আয়োজিত হয়েছে তাঁর আঁকা ছবি নিয়ে। অভাবের এক সংসারে নিজের মাকেই একমাত্র পাশে পেয়ে এই শিল্পের সূচনা তাঁর।

সে অনেকদিন আগের কথা। শিল্প সাধনা প্রায় ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে হলেও ১৫ বছর আগে সরকারি চাকরি পাওয়ার পরেই মূলত তাঁর কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। কারণ, এই আঁকার সরঞ্জাম খুবই ব্যয়বহুল।

যে কারণে এক সময় তাঁর পরিবারে তাঁর এই শিল্পকে নিছক বিলাসিতা মনে করা হতো। এই শিল্পের ব্যয়নির্বাহের জন্য তাঁকে কিছু আঁকার ক্লাসও নিতে হয়। আজও সরকারি মাইনের প্রায় ৫০ শতাংশ খরচ হয় এই শখের পেছনে।

ছোটবেলায় মাটির পুতুল তৈরি, আঁকার শখ দিয়েই এই পথচলা শুরু। ক্লাস ৮/৯এ তিনি আঁকার স্কুলে ভর্তি হন। এই শিল্পে তাঁর গুরু শতদল বিশ্বাস। এখনও গুরুর থেকে নিয়মিত শিখে চলেছেন তিনি। তাঁর মতে, ছবি হল মানুষের ভাষা, মানুষের সঙ্গী। বই পড়া তাঁর আরেক নেশা। ২০১০ সালে তাঁর প্রথম প্রদর্শনী। জাতীয়, আন্তর্জাতিক স্তরে, সীমা প্রদর্শনী, অকাদেমি অফ ফাইন আর্টসেও তাঁর ছবি নির্বাচিত হয়েছে। বর্তমানে তিনি দেওয়াল রঙের ওপর কাজ করছেন। জলরঙের ওপর একক প্রদর্শনী আটকে দিয়েছে করোনা।

রাতের খাওয়া শেষ হলে সকলে যখন ঘুমোতে যায় তখন তিনি শিল্পের সাধনা শুরু করেন। যখন আঁকতে ভালো লাগে না, তখন তিনি গল্পের বই পড়েন। প্রথম একক প্রদর্শনীর প্রথম প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন তাঁর জন্মদাত্রীর হাত দিয়ে যা ছিল তাঁর একমাত্র অনুপ্রেরণাকে শ্রদ্ধা জানানো। তাঁর শিল্পের মূল বিষয় প্রকৃতি ও প্রান্তিক মানুষ। এসব হারিয়ে যাওয়া প্রান্তিক মানুষের কথা সমাজকে মনে করিয়ে দেওয়া তিনি তাঁর সামাজিক দায়বদ্ধতা মনে করেন।

দেখুন তাঁর কিছু সৃষ্টিঃ-

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Shambhu Prasad Roy, #acrylic painter

আরো দেখুন