জেনে নিন কুমারী পুজোর মহিমা
দুর্গাপুজোর অন্যতম রীতি কুমারী পুজো ৷ অষ্টমী তিথির পুজো শেষে হয় কুমারী পুজো৷ এখনও ঋতুমতী হয়নি এরকম কোনও মেয়েকে এদিন দেবী রূপে পুজো করা হয়৷ অষ্টমী ছাড়াও অনেক জায়গায় নবমীর দিনও করা হয় কুমারী পুজো৷ কালী পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, অন্নপূর্ণা পুজো এমনকী শক্তি পুজোতেও করা হয় কুমারী পুজো ৷
কী এই কুমারী পুজোর মহিমা ? হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, মা কালীর হাতে কলাসুর বধের প্রতীকী হল কুমারী পুজো ৷ কথিত রয়েছে, কলাসুর স্বর্গ ও মর্ত্য অধিকার করে নিয়েছিল ৷ দেবতারা মা কালীর কাছে উদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করেন৷ তাদের আর্তি শুনে মা কালী আবার জন্ম নেন শিশুকন্যা রূপে এবং কলাসুর বধ করেন ৷
যোগিনীতন্ত্র, কুলরনবতন্ত্র, দেবীপূরাণ, স্তোত্র, কবচ, সহশ্রমণ, তন্ত্রসর, প্রান্তসিনী ও পুরোহিতদর্পণে কুমারী পজোর উল্লেখ রয়েছে৷ এই পুজোর বৈশিষ্ট্য হল কুমারীকে পুজো করার সময় দেখা হয় না তার ধর্ম, জাত৷ ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী যেকোনও মেয়েই কুমারী হতে পারে৷ এমনকী, বারবণিতার সন্তানও কুমারী রূপে পূজিতা হতে পারে ৷ বয়স অনুযায়ী কুমারীদের বিভিন্ন নামেও অভিহিত করা হয়।
বিশ্বাস করা হয় কুমারী পুজো করলে সব বিপদ কেটে যায়৷ দার্শনিক মতে কুমারী পুজো সমাজে মেয়েদের মূল্য প্রতিষ্ঠা করে৷ কুমারীত্বকে মনে করা হয় শক্তির বীজ, সৃষ্টি, স্থিতি, লয়ের প্রতীক৷ নারীত্ব ও প্রকৃতির প্রতীক কুমারীত্ব৷ মনে করা হয় কুমারীর মধ্যেই নেমে আসেন মা৷