নবমীর সকালেই বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা মোদী-ধনখড়ের, ক্ষোভে ফুঁসছে বাঙালি
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের আগে বাংলার সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কসুর করছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ষষ্ঠীর সকালেই বিজেপি আয়োজিত দুর্গাপুজোর ভার্চুয়াল উদবোধনের সময় পুরোদস্তুর বাঙালি-বেশে ছিলেন। তবে অতিরিক্ত বাঙালি প্রীতি দেখাতে গিয়ে এবার মহাভুল করে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নবমীর সকালেই তিনি বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বঙ্গবাসীর তোপের মুখে পড়লেন।
প্রধানমন্ত্রীর দেখাদেখি বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও একই রাস্তায় হাঁটলেন। তিনিও এদিন বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে হইচই পড়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলির তরফেও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য বিষয়টি নিয়ে তির্যক মন্তব্য করেন। দেবাংশু বলেন, “নবমীতে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানালেন মোদী জি ও রাজ্যপাল । আমরা বিজেপিকে অসময়ে হ্যাপি হোলি জানিয়েছিলাম, তার বদলা সম্ভবত। “
পাশাপাশি নেট নাগরিকদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ। রাজ্যপালের উদ্দেশে স্বরাজ মুখার্জি লিখেছেন, “মহানবমীর শুভেচ্ছা জানাই স্যার আপনাকে ।। ভালো থাকবেন , আশা করবো পরের বার থেকে সঠিক টা জেনে পোস্ট করবেন ।।। আপনার আশা পূর্ণ হোক দেশভক্তির নামে বুলি দিয়ে গদি তে বসে থাকা মানুষ রুপী , অমানুষ গুলোর পরাজয় হোক ।।”
অয়ন দাস লিখেছেন, “জ্যেঠু আজ তো নবমী, কাল দশমী।। মা এর বিসর্জন না হলে বিজয়া হয় না।। শুভ নবমীর প্রীতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।”
কমলিকা ভট্টাচার্য লিখেছেন, “পঞ্জিকা দেখে নিন। দশমী এখনো লাগে নি।”
নীলনজিৎ গায়েন লিখেছেন, “বাঙালির প্রতি দেখানো ভালোবাসা জাহির করতে গিয়ে বাঙালির ভাবাবেগ কে আঘাত করলেন আপনি।। দশমী শুভ হবে তবে সেটা বিজেপির বিসর্জন দেওয়ার পর এবং সাথে আপনার ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর। বাংলা ও বাঙালির প্রতি ভোট দেখানো ভালোবাসা পরিবেশন করার জন্য @BJP4India @BJP4Bengal নেতাদের তীব্র ধিক্কার।”
প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা তথা দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ত সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে আগেও বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।