অবস্থার আরো অবনতি, ভেন্টিলেশনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সৌমিত্রকে
মস্তিষ্ক তেমনভাবে সাড়া দিচ্ছে না। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেওয়া ছাড়া আর কোনো রাস্তা এই মুহূর্তে খোলা নেই চিকিৎসকদের কাছে।
আপাতত মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইনভেসিভ সাপোর্ট দেওয়া হবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্নায়ু বিশেষজ্ঞ এবং কিডনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে। তারপর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। রবিবার সন্ধেয় হাসপাতালের তরফে এক মেডিক্যাল বুলেটিনে এমনটাই জানানো হয়েছে।:
সৌমিত্রবাবুর মস্তিষ্কের সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা ক্রমশ কমছিল। গত ৪৮ ঘণ্টায় তার মস্তিষ্কের অবস্থার যথেষ্ট অবনতি হয়েছে। করোনা সংক্রান্ত এনসেফালোপ্যাথি অর্থাৎ মস্তিষ্কের স্নায়ু সংক্রান্ত সমস্যাই এখন ক্রমশ জটিল আকার ধারন করছে। শরীরে ইউরিয়ার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। সোডিয়াম, পটাশিয়াম-সহ অন্যান্য বিষয়েও অস্বাভাবিক। দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এখনো কাজ করছে এমনটাই দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তবে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল এবং হাতের বাইরে। তেমনই ইঙ্গিত মিলছে। পরিবারকেও কাউন্সেলিং করা হচ্ছে হাসপাতালের তরফে। আন্তর্জাতিক এবং দেশ ও রাজ্যের বিশিষ্ট স্নায়ু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।
কুড়ি দিন হল চিকিৎসাধীন রয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এর মধ্যে ১৭ দিন আইসিইউ সিস্টেমের মধ্যে রয়েছেন। প্লেটলেট কমেছে। প্লাসমাফেরেসিস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অর্থাৎ শরীরে প্লাজমা পরিবর্তন করে নতুন প্লাজমা দেওয়া হবে। এককথায় বেশ সঙ্কটজনক সৌমিত্র।