‘চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না’ সৌমিত্র, আজ কয়েকটি ‘কঠোর সিদ্ধান্ত’ চিকিৎসকদের
কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু আবারও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উত্কণ্ঠা বাড়ল। দক্ষিণ কলকাতার হাসপাতালের এক কর্তা জানিয়েছেন, শনিবার প্রবীণ অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
বর্ষীয়ান অভিনেতার মেডিক্যাল দলের প্রধান অরিন্দম কর জানিয়েছেন, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ‘ভালোভাবে’ কাজ করলেও অভিনেতার প্লেটলেটের সংখ্যা পড়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে রক্তে ইউরিয়া ও সোডিয়ামের মাত্রা বেড়েছে। চিকিৎসকরা ‘কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত’ নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। অরিন্দমবাবু বলেন, ‘৭২ ঘণ্টা আগে যেমন ছিল, তার থেকে সৌমিত্রবাবুর চেতনা কিছুটা কম আছে। তাঁর (শারীরিক অবস্থা) কোনদিকে যাচ্ছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নই। আমরা বিভিন্ন টেস্টের রিপোর্ট পেয়েছি। তা থেকে আমাদের অনুমান যে কোভিড এনসেফেলোপ্যাথি বাড়ছে।’
কয়েকদিন ধরেই এনসেফেলোপ্যাথি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন চিকিৎসকরা। ইমিউনোগ্লোবিন এবং স্টেরয়েড দিয়ে একটা সময় সেই পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। অরিন্দমবাবু বলেন, ‘স্টেরয়েড ও অন্যান্য চেষ্টা সত্ত্বেও উনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না।’
সৌমিত্রবাবুর বয়স এবং কোমর্বিডিটি নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন চিকিৎসকরা। মেডিক্যাল দলের প্রধান বলেন, ‘তাঁর ফুসফুস এবং রক্তচাপ এখন ভালোই কাজ করছে। কিন্তু আশঙ্কিত হওয়ার কারণ আছে। তাঁর প্লেটলেটের সংখ্যা কমেছে। কী কারণে সেটা হয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করছি। আগামিকাল (রবিবার) আমরা কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নেব।’
গত ৬ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে ভরতি আছেন ৮৫ বছরের অভিনেতা। মাঝে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। গত সপ্তাহে তাঁর করোনাভাইরাস রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। তবে তাঁর স্নায়বিক অবস্থা নিয়ে উত্কণ্ঠা ছিল। তারইমধ্যে আবারও উদ্বেগ বেড়েছে। অরিন্দমবাবু বলেন, ‘আমরা সবরকমভাবে চেষ্টা করছি। কিন্তু কখনও কখনও কারোর ক্ষেত্রে সেই চেষ্টা যথেষ্ট নয়। যিনি এই বয়সে রোগে ভুগছেন।’