কয়লা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ৩ বছরের জেল
কয়লা ব্লক বন্টনে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিলীপ রায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত চলছিল। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন দিলীপ রায়। সোমবার দিল্লির একটি আদালত দিলীপ রায়ের ৩ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে। আগামী ২০২৩ সাল পর্যন্ত দিলীপকে জেল হাজতে থাকতে হবে।
দিলীপ রায় অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলে কয়লা দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঝাড়খন্ডে কয়লা ব্লক বন্টন মামলায় ১৯৯৯ সালে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তৎকালীন এনডিএ সরকার অভিযোগের তদন্তভার সিবিআই-কে দিয়েছিল। তদন্তে নেমে সিবিআই ওই দুর্নীতিতে তৎকালীন রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপের যোগসাজশ খুঁজে পায়। দিলীপকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বাদী এবং বিবাদী পক্ষের দীর্ঘ শুনানির পর দিলীপ-সহ ৪ জন ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। এরপর আজ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই আদালত তাঁকে ৩ বছর কারাদণ্ডের শাস্তি দিয়েছে। তাঁর সঙ্গে কয়লা মন্ত্রকের তৎকালীন দুই পদস্থ অফিসার প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নিত্যানন্দ গৌতমও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাঁদের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই। ওই দুর্নীতিতে লাভবান এক বেসরকারি সংস্থার কর্ণধারের জন্যও তারা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আর্জি জানিয়েছিল।
দিলীপের জন্য কারাদণ্ড ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক জানিয়েছেন, মন্ত্রী থাকাকালীন দিলীপ বেআইনি এবং অসৎ ভাবে বেসরকারি এবং পরিত্যক্ত কয়লাখনি এলাকা একটি বিশেষ সংস্থাকে পাইয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে ব্রহ্মডিহা কয়লা ব্লক বন্টনে ওই ব্যাপক অনিয়ম এবং দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছিল। দিলীপকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যার অর্থ, সরকারি পদাধিকারী হয়ে বিশ্বাসভঙ্গ। যা ফৌজদারি অপরাধ।