সব্যসাচীর সেম সাইড গোলে বিড়ম্বনায় মুকুল
বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়ের তুলনা দিয়েই মুকুল-ঘনিষ্ঠ সব্যসাচী দত্তকে সেমসাইড গোলে হারালেন কুণাল ঘোষ। জনপ্রতিনিধি বিতর্কে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জবাব দিলেন তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সব্যসাচী দত্তকে। মুকুল রায়ের উদাহারণ টেনে এনেই বাজি জিতলেন কুণাল।
কুণাল বলেন, সব্যসাচী দত্ত সেমসাইড গোল খেয়ে গিয়েছেন। তিনি আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে গিয়ে তাঁর মুকুলদাদার জনপ্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়টা ভুলে গিয়েছেন। তা না হলে তিনি রাজ্যসভার সাংসদকে বলেন জনপ্রতিনিধি নন। সব্যসাচী ভুলে গিয়েছেন, আমি রাজ্যসভার এক্স এমপি ছিলাম। তাই আমি জনপ্রতিনিধি তো বটেই, এমনকী নির্বাচিতও। যেমন মুকুল রায়।
সব্যসাচীকে নিশানা কুণাল ঘোষ আরও বলেন, আমি বুঝতে পারছি সব্যসাচী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বলতে লোকসভার সাংসদ বোঝাতে চাইছেন। আর রাজ্যসভার সাংসদ বলে যদি আমি নির্বাচিত জন প্রতিনিধি না হই, তাহলে মুকুল রায়ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। তাঁকে কী করে নেতা মানছেন সব্যসাচী। তাঁর পিছনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন!
কুণালের জবাব, মুকুল রায় যদি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হন, তবে আমিও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলাম। কেননা আমিও রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ, মুকুল রায়ও রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। মুকুল রায় রাজ্যসভার সাংসদ ছাড়া আরও কোনও নির্বাচন জেতেননি। উপরন্তু আমি মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্তদের মতো দলবদলের রাজনীতি করি না।
কুণাল ঘোষের কথায়, আমি স্বীকার করছি আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি একজন সাংবাদিক। ঘটনাচক্রে আমার রাজনীতিতে আসা। তা বলে আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নই তা নয়। আমি রাজনীতিতে এসেছি, দলকে একটা পরিবার ভেবেছি। মতভেদ হলে বলেছি। আমার মাসের শেষে চাঁদাটাও দিয়েছি। সব্যসাচীদের মতো দলবদলুর দলে নেই আমি। আমি গড়ে উঠছি এক জায়গায় আর সুবিধা বুঝে দল পাল্টে ফেলছি, তেমন জনপ্রতিনিধি আমি নই।
বলেছিলেন, তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন, এমন কারও মন্তব্যের জবাব দেবেন না। তাঁর এই বিদ্রুপেরই পাল্টা জবাব দেন কুণাল ঘোষ। তাঁকে বুঝিয়ে দেন তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিই। কেন তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, তাও বুঝিয়ে দেন কুণাল।