ফের সঙ্কটজনক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
মস্তিস্কের স্নায়বিক অবস্থার অবনতি৷ করোনা মুক্ত হওয়ার পর আশা দেখছিলেন তাঁর গুণমুগ্ধরা৷ কিন্তু বিজয়া দশমীতে ফের উদ্বেগের কথা শোনাচ্ছেন চিকিৎসকেরা৷
বেলভিউ হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মস্তিস্কের স্নায়বিক অবস্থার অবনতি৷ রক্তে বেড়েছে ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ৷ রয়েছে অস্থিরতা৷
সৌমিত্রবাবু করোনা মুক্ত হওয়ার পর আশা দেখছিলেন তাঁর গুণমুগ্ধরা। কিন্তু অষ্টমী থেকে ফের অবস্থার অবনতি৷ প্লেটলেট ক্রমশ কমছে অভিনেতার৷ রাইস টিউবের মাধ্যমেই খাওয়ানো হচ্ছে তাকে৷
কোভিড সেরে গেলেও মাঝেমধ্যে শরীরে অক্সিজেনের তারতম্য ঘটছে। ওঠানামা করছে রক্তচাপ। এরই মধ্যে সমস্যা বাড়িয়েছে মস্তিষ্কে সংক্রমণ বা কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথি। সৌমিত্রকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হতে পারে বলেও হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে চিকিৎসকদের আশা, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
স্নায়বিক চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে বলে বেলভিউ হাসপাতাল সূত্রে খবর। বিদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলা হচ্ছে।
বয়স হয়েছে ৮৫ বছর। রয়েছে কো-মর্বিডিটি। বয়স এবং কো-মর্বিডিটির বিষয় দু’টি চিকিৎসার ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর প্রায় দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তিনি ভর্তি বেলভিউ হাসপাতালে।
গত ৬ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে ভরতি আছেন ৮৫ বছরের অভিনেতা। মাঝে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। গত সপ্তাহে তাঁর করোনাভাইরাস রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। তবে তাঁর স্নায়বিক অবস্থা নিয়ে উত্কণ্ঠা ছিল। তারইমধ্যে আবারও উদ্বেগ বেড়েছে। অরিন্দমবাবু বলেন, ‘আমরা সবরকমভাবে চেষ্টা করছি। কিন্তু কখনও কখনও কারোর ক্ষেত্রে সেই চেষ্টা যথেষ্ট নয়। যিনি এই বয়সে রোগে ভুগছেন।’