বাঙালীর বৃহত্তম শারদীয় উত্সবের সমাপনীর পর এবার লক্ষ্মীপুজোর আগে পর্যন্ত চলবে বিজয়া। অশ্রুসজল নয়নে ভক্তবৃন্দ বিদায় জানিয়েছে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে। উত্সব শেষে বিষাদের সুর। বাঙালি জীবনে উত্সব আনন্দের সকল অনুষঙ্গে মিষ্টি ছাড়া কি চলে? আর সেটা যদি হয় নিজের হাতে তৈরি মিষ্টি তাহলে তো কথাই নেই। বিজয়াতে বাঙালিদের মিষ্টি মুখ মাস্ট। তাই আজ আপনাদের জন্য রইল একটি মিষ্টির রেসিপি।
উপকরণ
দুধ ১ লিটার
খোয়া ক্ষীর / মেওয়া ৫০০ গ্রাম
ঘি
কন্ডেন্সড মিল্ক
চিনি ২ কাপ
চিনি পাউডার
গুঁড়ো দুধ
লেবুর রস
রসগোল্লা বানানোর প্রণালী
দুধ গরম করে ফুটে উঠলে তাতে ১ থেকে ২ চামচ লেবুর রস দিয়ে দিন ।
দুধ ঘনহয়ে আস্তে আস্তে ছানা ছানা হয়ে যাবে।
ছানা নামিয়ে একটা পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে ঢেলে নিন।
পাতলা কাপড়ে বেঁধে টাঙ্গিয়ে রাখুন যাতে ছানা থেকে ভালো করে জল ঝরে যায়।
ছানা দুইভাগে ভাগ করে নিন ।
এক ভাগ ছানা হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিন ।
মাখা ছানা দিয়ে ছোট ছোট বল বানিয়ে নিন।
একটি পাত্রে এক কাপ চিনি আর তিন কাপ জল দিয়ে পাতলা করে চিনির রস বানিয়ে নিন।
ছানার বলগুলো ফুটন্ত রসে ছেড়ে মিডিয়াম আঁচে ২০ থেকে ২৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রান্না করলে রসগোল্লা তৈরি হয়ে যাবে।
ক্ষীরকদম্ব বানানোর প্রণালী
আগে থেকে ভাগ করে রাখা বাকি ছানার সঙ্গে আধা কাপ মেওয়া, কন্ডেন্সড মিল্ক ও ঘি একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে গ্যাসে মিডিয়াম আঁচে বসিয়ে দিন।
বারেবারে নাড়তে থাকুন
যখন দেখবেন ঘন হয়ে গেছে তখন নামিয়ে ফেলুন
ক্ষীর দেখতে অনেকটা আটার ডো-এর মতো হয়
এবার রসগোল্লা থেকে রস চিপে বের করে নিন
যতগুলো রসগোল্লা হয়েছে ঠিক সেই কয়টা বলের আকার ক্ষীর দিয়ে বল বানিয়ে ফেলুন
এবার ক্ষীর এর বলগুলো বাটির মতো বানান অর্থাত্ মাঝাখানে গর্ত করে এর ভেতরে রসগোল্লা দিয়ে বাটির মুখ ভালো করে বন্ধ করে দিন হাত দিয়ে চেপে