লকডাউনে যৌনকর্মীদের রেশনের ব্যবস্থা, বাংলার প্রশংসায় সুপ্রিম কোর্ট
লকডাউনে চরম সঙ্কটে পড়া যৌনকর্মীদের বিনামূল্যে রেশন দিতে এক মাস আগেই রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু অনেক রাজ্য এখনও সেই কাজে টালবাহানা করায় বুধবার ফের যৌনকর্মীদের জন্য বিনামূল্যে রেশন সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই প্রসঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টের সামনে অন্যান্য রাজ্যের জন্য অনুকরণযোগ্য পশ্চিমবঙ্গের পদক্ষেপটি উঠে এল।
রাজ্য সরকার যৌনকর্মীদের ডিজিটাল রেশন কার্ড না-থাকলেও খাদ্যসাথী বিশেষ কুপন বিলি করে রেশনের ব্যবস্থা করেছে। আজ সুপ্রিম কোর্টের নিযুক্ত আদালত-মিত্র বা অ্যামিকাস কিউরি পীযূষকান্তি রায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গ যে ভাবে সঙ্কটে পড়া যৌনকর্মীদের চিহ্নিত করে প্রত্যেকের হাতে রেশন তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে, অন্যান্য রাজ্যগুলি তা অনুসরণ করতে পারে। অন্য রাজ্যগুলিও একই ভাবে বিশেষ কুপন চালু করে রেশন বিলি করতে পারে।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও বলেন, রাজ্যগুলিকে যৌনকর্মীদের জন্য বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করে তার রিপোর্ট আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে হবে।
অতিমারি ও লকডাউনের ফলে রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়া যৌনকর্মীদের জন্য সুরাহা চেয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। তার পরেই সুপ্রিম কোর্ট কোনও পরিচয়পত্র না-দেখেই যৌনকর্মীদের খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিলির বিষয়টি কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে বিবেচনা করে দেখতে বলে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও গণবণ্টন দফতরের বিশেষ সচিব সিদ্ধার্থশঙ্কর চক্রবর্তী সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যৌনকর্মীদের জন্য ডিজিটাল রেশন কার্ডের সমতুল খাদ্যসাথী ফুড কুপনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। নথির অভাব থাকলে বিশেষ কুপন দেওয়া হয়েছে। এডস নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মাধ্যমে যৌনকর্মীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সকলকেই ২০২১-এর জুন পর্যন্ত মাসে ৫ কেজি করে চাল-ডাল দেওয়া হবে। পীযূষবাবু আদালতে জানান, যে সব রাজ্য নথির অভাবে রেশন কার্ড দিতে টালবাহানা করছে, তারা পশ্চিমবঙ্গের মতো কুপনের মাধ্যমে রেশন বিলি করতে পারে।