রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, ডানা ছাঁটা হল বিজয়বর্গীয়র
ডানা ছাঁটা গেল বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। সূত্রের খবর, দিল্লীর বিজেপি নেতৃত্ব তাঁকে বাংলা ছেড়ে মধ্যপ্রদেশে বেশি সময় দিতে বলেছে।
বঙ্গ বিজেপিতে ব্যাপক রদবদল। আরএসএসের সঙ্গে বিজেপির সেতুবন্ধন হিসেবে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদটি বরাবরই সঙ্ঘের প্রচারকের জন্য নির্দিষ্ট। কদিন আগেই বঙ্গ বিজেপির সেই পদে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে অমিতাভ চক্রবর্তীকে আনা হয়েছে। তিনিও আরএসএস প্রচারক। এই বদলের জেরে বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীকরণে বড়ো পরিবর্তন এসেছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের। বক্তব্য ছিল, বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ বনাম মুকুল-কৈলাস লবির মধ্যে দ্বন্দ্বে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রয়েছেন তাঁদের পাশেই। কিন্তু তারপরই ডানা ছাঁটা গেল বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। যা মুকুল শিবিরের কাছে বড়ো ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বাংলার বদলে তাঁর নিজের রাজ্য মধ্য প্রদেশে বেশি সময় দিতে নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিব প্রকাশকে বাংলায় সময় দিতে বলা হয়েছে। কৈলাসের পাশাপাশি শিব প্রকাশও বিজেপির তরফে বাংলার পর্যবেক্ষক।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বিধানসভা ভোটের আগে দিলীপ-মুকুল দ্বন্দ্ব মেটাতে না পেরে রাশ নিজের হাতে তুলে নিল দিল্লীর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি বার্তা দেওয়া হল কোনওরকম গোষ্ঠীবাজি বরদাস্ত করা হবে না। দিলীপ ঘনিষ্ঠ সুব্রতকে সরিয়ে এবং যুযুধান মুকুল গোষ্ঠীর অন্যতম মুখ তথা কেন্দ্রীয় নেতা বিজয়বর্গীয়র ডানা ছেঁটে তাই কি ব্যালেন্স করার চেষ্টা করল দিল্লীর নেতৃত্ব?
বিজেপির দিল্লীর নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত অবশ্য হাতেগরম ইস্যু তুলে দিয়েছে তৃণমূলের হাতে। তৃণমূল বরাবরই দাবি করে বিজেপি বহিরাগতদের দল। এবার রাজ্য নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব মেটাতে দুই শিবিরের দুই নেতাকে সরিয়ে সেই দাবিতেই সিলমোহর দিল খোদ গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, দাবি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের।