মৃত্যু নিয়ে বিজেপির চিরাচরিত রাজনীতিকে নস্যাৎ করল মল্লারপুরের মৃত নাবালকের পরিবার
পুলিশ লক-আপে (Lock-up) নাবালকের মৃত্যুর অভিযোগ। আর সেই খবর ছড়াতেই অশান্তি শুরু হউ বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুরে। টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তা অবরোধ করে চলে প্রতিবাদ। মৃতকে দলের কর্মী বলে দাবি করে বিজেপি (BJP)। তাদের অভিযোগ, হেফাজতে থাকাকালীন পুলিশি অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে ১৫-১৬ বছর বয়সী শুভ মেহেনার। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনা রাজনীতিকরণের নিন্দায় মুখর তৃণমূল। মল্লারপুর থানার ওসির শাস্তির দাবিতে আজই রাতে থানা ঘেরাও করবে রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চা (BJP Yuva Morcha)। এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। এছাড়াও একই ইস্যুতে শনিবার ১২ ঘন্টার মল্লারপুর (Mallarpur) বনধ ডেকেছে বিজেপি।
গত শুক্রবার, সপ্তমীর দিন মোবাইল চুরির অভিযোগে পুলিশ মল্লারপুরের বারুইপাড়ার বাসিন্দা শুভ মেহেনাকে আটক করে। পরিবারের দাবি সেই থেকে থানাতেই ছিল সে। এ দিন পরিবারের লোকেরা জানতে পারে শুভ মারা গিয়েছে। তারপরই শুরু হয় হুলুস্থুল।
যদিও পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ নস্যাৎ করেছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার স্যাম সিং বলেছেন, ‘লক-আপে শুভ মেহেনা নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। থানার মধ্যে মৃত্যু হওয়ার দরুন পর্যাপ্ত তদন্ত হবে।’
এ দিকে মৃত শুভ মেহেনাকে দলের কর্মী বলে দাবি করেছে বিজেপি। এই ঘটনাকে তুলে ধরে মমতা সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের কর্মীদের উপর নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া বাহিনী। বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা (Anupam Hazra) মল্লারপুরের ঘটনায় বীরভূমের পুলিশ সুপারের বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর মধ্যে কি আর একটুও ‘মমতা’ বেঁচে নেই।”
কিন্তু মৃত যুবকের পরিবারের বয়ানে ঘটনার মুখ পুরোপুরি বদলে যায়। বিজেপির দাবি নস্যাৎ করে নাবালকের পরিবার জানায়, ‘আত্মহত্যা করেছে ছেলে। বিজেপি নয়, তৃণমূল করি’। পুলিশের বিরুদ্ধে তাদের কোনও অভিযোগ নেই। এমনটাও পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে।