নতুন আইফোনে যে তিনটি পুরানো ফিচার থাকবে না
আইফোন ১২ বাজারে আনার কথা ঘোষণা করেছে অ্যাপেল। নতুন আইফোনের জন্য আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে প্রযুক্তি প্রেমীদের। ক্যামেরার গুণমান ও প্রসেসিং গতি উন্নয়ন প্রচেষ্টা সবসময়ই প্রশংসা করার মতো। তবে, বছরের পর বছর ধরে চলে আসা কিছু ফিচারের কথা বরাবরই এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রাহককে বেশি ইউজার-ফ্রেন্ডলি ফিচারের অভিজ্ঞতা প্রদানই অ্যাপেলের লক্ষ্য।
বাজারে আসা আগের আইফোনগুলোর কিছু পুরানো ফিচারের বিষয়ে একটু কথা বলা যাক, যেসব ফিচার এই নতুন ফোনটিতে আপনি পাবেন নাঃ
আইফোনের চার্জার ও ইয়ারফোন
চলুন আইফোন ১২ নিয়ে কথা বলা যাক। মোবাইল প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ড নির্বিশেষে, কোনো একটি নতুন ফোন কেনার ক্ষেত্রে এর সাথে একটি চার্জার ও ইয়ারফোন থাকবে এটা প্রতিটি গ্রাহক আশা করতেই পারেন। তবে আইফোন ১২ এ এই ধারণার পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ জন্য হয়তো সামনের দিনগুলোতে অন্য ফোন কোম্পানিগুলোও তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করবে। বৃহৎ আকারে কার্বন হ্রাস করাই তাদের প্রচেষ্টা। এটি প্রশংসনীয় তবে এর জন্য মূল্য দিতে হবে কাদের? অ্যাপেল স্বীকার করেছে বাজারে তাদের ২ বিলিয়নেরও বেশি চার্জার ও ৭০০ মিলিয়নের বেশি ইয়ারফোন (অন্য কোম্পানিরগুলো ছাড়া) রয়েছে। লজিস্টিকের দৃষ্টিকোন থেকে যা উৎপাদনের অনেক বেশি অপচয় মনে হতে পারে। এ পরিসংখ্যান নিয়ে তর্ক করা কঠিন তবে আইফোনের সাথে এগুলো সরবরাহ না করার আগে বিকল্প ভাবতে পারলে দুর্দান্ত হত।
হেডফোন জ্যাক
প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সাথে সাথেই ওয়্যারলেসের চাহিদা বেড়েছে। আমরা এমন তারহীন বিকল্প হেডফোন খুঁজি যা নিখুঁত সাউন্ড দিবে এবং পকেটে সহজে রাখা যাবে। হেডফোন জ্যাক থাকায় বিকল্পটিও ব্যবহার করা যেত যা এখন আর নেই। অতিরিক্ত একটি স্পিকারের সাথে জ্যাকের প্রতিস্থাপনের ফলে সাউন্ডের মান হয়তো আরও ভাল করে তোলা হবে। মেনে নিতেই হবে যে, আইফোন ব্যবহারকারীদের জ্যাক-লেস হতে হতে বেশ কয়েক বছর লেগেছে। তবে, নিশ্চিতভাবেই এ ফিচারটিকে খুব মিস করবে সাধারণ মানুষ।
বাটন
আইফোনের ম্যাজিক হোম বাটন সরিয়ে ফেলা কোনোভাবেই আইফোন সিরিজের ক্রেজ কমিয়ে দেয়নি। ব্যবহারকারীদের কেউই এ ফিচারটিতে ফিরে যেতে চান না বলা ঠিক হবে না। আইফোন এক্স বাজারে ছাড়ার সময় এতে ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি যুক্ত করা গেম-চেঞ্জার হয়ে থাকবে এবং অভিনব প্রযুক্তিতে অ্যাপেল যে পিছিয়ে নেই তার প্রমাণ দিয়েছে। ফেস রিকগনিশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনটি ব্যবহার করতে পারবেন। যা আঙুলের ছাপের স্ক্যানার ব্যবহারের চেয়ে বেশি সুরক্ষিত। তবে ফোন আনলক করার গতি ও সুবিধা বিষয়গুলোকে আমরা পর্যালোচনা করে দেখতে পারি। অ্যাপেল এমন এক সেটিং ব্যবহার করেছে যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর স্ক্রিনের যে কোনো স্থানকে ডিজিটাল হোম বাটন হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। তবে, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেখানে মহামারি থেকে সুরক্ষিত থাকতে সকলের মাস্ক ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে এ পরিস্থিতিতে কতজন অ্যাপেলের ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন তাই এখন দেখার বিষয়।