তুমুল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মাঝে দিলীপকে বার্তা কৈলাশের
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই পশ্চিমবঙ্গে লড়বে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে সংবাদমাধ্যমে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে তা নাকচ করে দিয়ে শনিবার এই ঘোষণা করলেন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে ভোটের আগে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দিতে পারেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ যুব মোর্চার কমিটি গঠন–সহ বিভিন্ন ব্যাপারে দলের অন্দরে কয়েকদিন ধরে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা ভাল চোখে দেখছে না কেন্দ্র।
কিন্তু সে সব খবরকে মিথ্যা ঘোষণা করে এদিন সংবাদ সংস্থা পিটিআই–কে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘ওই খবরগুলি কেবল ভিত্তিহীন নয়, বিভ্রান্তিকরও বটে। একইসঙ্গে এই ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ার পেছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধিও রয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি তার রাজ্য সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষকে নিয়েই বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।’
দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাজ্য বিজেপি–র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু এদিন বলেন, ‘প্রথম মেয়াদ শেষ করে এই নিয়ে পরপর তিনবার নির্বাচিত হয়েছেন দিলীপদা। তাঁকে অপসারণের কোনও প্রশ্নই আসে না।’ দিলীপ ঘোষ নিজেই বলেছেন যে তিনি দলের ‘অনুগত সৈনিক’ এবং তাঁর পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কোনও খবর তিনি জানেন না।
গত বুধবার দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদ থেকে সরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই জায়গায় আনা হয় অমিতাভ চক্রবর্তীকে। এর পরই দিলীপ ঘোষ তাঁর পদ ত্যাগ করতে পারেন বলে জল্পনা দেখা দেয়। ওদিকে, সপ্তমীর দুপুরে এক নির্দেশিকায় যুব মোর্চার সমস্ত জেলা কমিটি ভেঙে দেন বিজেপি–র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এতে রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ ও দিলীপ ঘোষের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। যদিও পরে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যান সৌমিত্র খাঁ নিজেই।