১১ গুণ মুনাফা বাড়ল ইন্ডিয়ান অয়েলের
বিপুল আসন নিয়ে দ্বিতীয় বার কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফেরার পরে বিলগ্নিকরণের উপরে জোর দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন সরকার। কোন কোন সংস্থার উপরে এই খাঁড়া নামবে, তার রূপরেখাও তৈরি। আর সেই তালিকায় উপরের দিকেই আছে ইন্ডিয়ান অয়েলের নাম। অথচ চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আগের তুলনায় তিন গুণের বেশি মুনাফা করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত এই তেল কোম্পানিটি। আর গত বছরের হিসেবে লাভের অঙ্ক বেড়েছে ১১ গুণের মতো।
শুক্রবার লক্ষ্মীপুজোর (Laxmi Puja 2020) দিনই গত সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান অয়েল। লকডাউন শিথিলের ফলে তেলের চাহিদা বাড়ায় ওই ত্রৈমাসিকে তাদের লক্ষ্মীর ঝাঁপি উপচে পড়েছে। বোদ্ধাদের সমস্ত পূর্বাভাসকে উলটপালট করে দিয়ে মাত্র তিন মাসে ইন্ডিয়ান অয়েলের নিট মুনাফা হয়েছে ৬ হাজার ২২৭ কোটি টাকা। ওই ত্রৈমাসিকে তাদের মুনাফার অঙ্ক ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ধারেকাছে থাকতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাসে জানিয়েছিলেন।
তার আগের ত্রৈমাসিকের একটা বড় অংশ লকডাউন পর্বের মধ্যে কাটলেও সেবার তারা ১ হাজার ৯১০ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছিল। আর গত আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তাদের নিট মুনাফা হয়েছিল ৫৬৩ কোটি টাকা।
শেয়ার বাজার নিয়ামক সংস্থাকে ইন্ডিয়ান অয়েল (Indian Oil) জানিয়েছে, আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তাদের পরিচালন ক্ষেত্র থেকে মুনাফা বেড়েছে ৭১ শতাংশ। টাকার অঙ্কে তা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা। আর অন্যান্য খাতে আয় ১৩৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা। এদিকে, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে তাদের অপারেটিং মার্জিন ছিল ৮.৮ শতাংশ। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে তা বেড়ে হয়েছে ১১ শতাংশ।
আর্থিক সংস্কার প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে বেশ কয়েকটি সংস্থার সরকারি অংশিদারিত্ব ৫১ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনার একটি প্রস্তাব বহুদিন থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিবেচনাধীন। এই তালিকায় যে সংস্থাগুলির নাম আছে তার মধ্যে অন্যতম ইন্ডিয়ান অয়েল। IOC-র বিলগ্নিকরণের ফলে সরকারি কোষাগারে ₹৩৩,০০০ কোটি ঢুকবে বলে মোদী সরকারের প্রত্যাশা।
ইন্ডিয়ান অয়েলের ৫১.৫ শতাংশ অংশিদারিত্ব সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। এছাড়া আরও তিন রাষ্ট্রায় সংস্থা LICI, ONGC এবং অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেড (OIL) মিলিতভাবে আরও ২৫.৯ শতাংশের মালিক।
২০২০-২১ আর্থিক বছরে ভারতের আর্থিক ঘাটতি জিডিপির ৮ শতাংশ ছাপিয়ে যেতে পারে। এ বছর সরকারের অন্তত ১৪ লক্ষ কোটি টাকা আর্থিক ঘাটতি হতে পারে। ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরে সরকারি সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে অন্তত ২ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র।