আপনার চোখ দুটি সুস্থ আছে কি না কি করে বুঝবেন
সারাদিনের পরিশ্রমে নিজের দিকে যত্নই নেওয়া হয়না। কিন্তু কিছু কিছু বিষয় এড়িয়ে গেলেই সর্বনাশ। আপনার এই সুখী জীবনের চাবিকাঠি আপনার চোখ দুটো কতোটা সুস্থ আদেও ভেবে দেখেছেন? বা আপনার ক্ষুদেটির দেখতে কোন অসুবিধে হচ্ছে কি না!
বাড়িতেই কিছু সহজ পরীক্ষা করে নিনঃ
বাচ্চাদের বেলায়
বাবা-মার মাইনাস পাওয়ার থাকলে বাচ্চারও হতে পারে। নজর রাখুন। খেলনা দূরে রেখে দেখুন চিনতে পারে কি না। এক চোখ চেপে রেখে দেখুন অন্য চোখে ঠিক দেখতে পায় কি না। অক্ষর পরিচয় হওয়ার পর স্নেলেন চার্ট বিভিন্ন দূরত্বে রেখে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
বাচ্চা যদি বই খুব কাছে নিয়ে পড়ে, কাছ থেকে টিভি দেখে, স্কুল বোর্ডের লেখা পড়তে না পারে, মাথাব্যথা, চোখব্যথা, আঞ্জনিতে কষ্ট পায়, পাওয়ার বাড়তে পারে।
কম দেখা পাওয়ারের জন্যই কি না জানতে কার্ডবোর্ডে পিন দিয়ে ছিদ্র করুন। এক চোখ বন্ধ করে দূরের জিনিসের দিকে তাকাতে বলুন। এ বার জিনিসটিকে ছিদ্রের মধ্যে দিয়ে দেখান। আগের তুলনায় স্পষ্ট দেখলে বুঝবেন পাওয়ার বেড়েছে।
বাচ্চা যদি সোজা জিনিসকে বাঁকা, চৌকো জিনিসকে এবড়োখেবড়ো বা গোল জিনিসকে ডিম্বাকার দেখে বুঝতে হবে সিলিনড্রিকাল পাওয়ার দেখা দিয়েছে।
বড়দের ক্ষেত্রে
চোখে কম দেখলেই বোঝা যাবে পাওয়ার বেড়েছে।
৪০-এর পর বইপত্র পড়তে চশমা লাগে। যাঁরা আগে মাইনাস পাওয়ারের চশমা পরে বই পড়তেন তাঁরা হঠাৎ অসুবিধে বোধ করতে পারেন। কারণ ৪০-এর পর কাছের পাওয়ার নির্ভর করে দূরের পাওয়ারের উপর। কাছের পাওয়ার + ১ এবং দূরের পাওয়ার + ১ হলে চশমার কাছের পাওয়ার হবে + ১ + ১ = ২, আর দূরে – ১ হলে সামনের পাওয়ার দাঁড়াবে + ১ – ১ = ০। অর্থাৎ খালি চোখে বই পড়া বা সূচে সুতো পরাতে পারবেন।
৪০ বছর বয়সে বই পড়তে প্লাস পাওয়ারের চশমা লাগত, ৫০-এর পর দেখলেন খালি চোখেই পড়তে পারছেন। ডায়াবেটিস বা ছানি দেখা দিয়েছে কি না দেখুন। দু’ ক্ষেত্রেই চোখে খানিকটা মাইনাস পাওয়ার আসে। ফলে প্লাসে মাইনাসে অ্যাডজাস্ট হয়ে যায়।