আন্তর্জাতিক বিভাগে ফিরে যান

ব্রিটেনে করোনার দাপট, আক্রান্ত ছাড়াল ১০ লাখ

November 1, 2020 | 2 min read

করোনাভাইরাসের (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ল গ্রেট ব্রিটেনে। তারই অভিঘাতে ফের জাতীয় লকডাউন (Lock Down) ঘোষিত হল রানির দেশে। দ্বিতীয় দফায় কোভিড ১৯ (Covid-19)-এ আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছুঁয়ে ফেলার পরই শনিবার গ্রেট ব্রিটেনে এক মাসের জন্য জাতীয় লকডাউন ঘোষণা করলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)।

ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা মৃত্যুর রেকর্ড রয়েছে গ্রেট ব্রিটেনেই (UK)। ফের করোনার ঢেউয়ে জেরে বিলেতে একদিনে ২০ হাজারেরও বেশি লোক সংক্রমিত হয়েছেন। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, দ্বিতীয় দফায় করোনার কবলে পড়ে মৃতের সংখ্যা ৮০ হাজারও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে লকডাউনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই ডাউনিং স্ট্রিটে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বরিস জনসন। তিনি ঘোষণা করেন যে, বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে এক মাসের লকডাউন থাকবে গ্রেট ব্রিটেনে। চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ে শুধুমাত্র পড়াশোনা, কর্মক্ষেত্র, ব্যায়াম, নিত্য প্রয়োজনীয় ও ওষুধ কিনতে বাড়ি থেকে বেরনোর অনুমতি রয়েছে মানুষের। জনসনের কথায়, ‘এখন ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প আমাদের হাতে নেই।’

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন জনসন। তবে পাব ও রেস্তোরাঁয় শুধু টেকঅ্যাওয়ে খোলা থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় নয় এমন সব জিনিসের দোকানপাট লকডাউনের সময় বন্ধ থাকবে সেখানে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছিলেন যে, গ্রেট ব্রিটেনকে আবারও খারাপ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে কোভিড ১৯। বড়দিনের আগে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে অবিলম্বে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।

প্রথম লকডাউনের ক্ষেত্রে দেরিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ করে জনসনের প্রতি তোপ দেগেছিলেন বিরোধীরা। প্রথম দফায় ২৩ মার্চ থেকে ৪ জুলাই লকডাউন ছিল রানির দেশে। মার্চের শেষেই কোভিডে আক্রান্ত হন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এপ্রিলের গোড়ার দিকে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid19, #England

আরো দেখুন