কুড়ি বছরে নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে যৌন হেনস্থার শিকার ২২৪ নারী, সমীক্ষায় চাঞ্চল্য
গত কুড়ি বছরে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন অসংখ্য নারী। তালিকার শিরোভাগে রয়েছে আসামের নাম, জানিয়েছে একাধিক এনজিও-র যৌথ মঞ্চ।
ন্যাশনাল ক্যাম্পেন এগেইন্সট টর্চার-এর (NCAT) তৈরি ওই তালিকায় ২০০ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে মোট ১১৪টি ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি এবং আরও কয়েক রকমের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মহিলারা।
শ্লীলতাহানির তালিকায় আসাম ছাড়া রয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, ছত্তিশগড়, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, উড়িষ্যা ও ত্রিপুরা। এর মধ্যে আসামে ২১টি ঘটনা, মণিপুরে ১৮টি, ছত্তিশগড়ে ১৭টি, জম্মু ও কাশ্মীরে ১৬টি, ত্রিপুরায় ১৪টি, ঝাড়খণ্ডে ৭টি, মেঘালয়ে ৬টি, অরুণাচল প্রদেশে ৬টি, উড়িষ্যায় ৫টি, অন্ধ্র প্রদেশে ৩টি এবং মহারাষ্ট্রে একটি ঘটনার উল্লেখ রয়েছে।
মোট ২২৪ জন মহিলা ও নাবালিকাকে ১১৪টি ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। এর মধ্যে সবার উপরে ছত্তিশগড় (৯২), তারপরে আসাম (২৬), মণিপুর (২১) এবং জম্মু ও কাশ্মীর (২০)।
অপরাধের মধ্যে রয়েছে ৪২টি ধর্ষণ, ৬টি খুন, ৩টি গর্ভবতীকে ধর্ষণ, ৪টি ক্ষেত্রে বিশেষ শারীরিক ক্ষমতা সম্পন্ন নারীর ধর্ষণ, তিনটি ক্ষেত্রে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানিতে বাধা দিতে গেলে গুলি করে হত্যা। এ ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, নগ্ন করা এবং যৌন হয়রানির মতো ঘটনা। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতাদের মধ্যে ৭৪% ৭ থেকে ১৭ বছর বয়েসি এবং ১৫৬ জন জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত নারী ও নাবালিকা।
এনসিএটি-র মতে, রাষ্ট্রপুঞ্জের (UNO) নিরাপত্তা পরিষদের ১৩২৫ নম্বর নীতি মান্য করতে হলে ভারতীয় অপরাধ আইনের ১৯৭ ধারা ও আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট-এর (আফস্পা) ৬ নম্বর ধারায় অবিলম্বে সংস্কার প্রয়োজন।