মার্চে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক! সুপারিশ শিক্ষা দফতরে
করোনা অতিমারী শিক্ষা ব্যবস্থার উপরে প্রভাব ফেলেছে। গত কয়েক মাস থেকেই দেশজুড়ে বন্ধ স্কুল-কলেজ। অনলাইন ক্লাসই (Online Class) এই মুহূর্তে একমাত্র ভরসা পড়ুয়াদের। কবে ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে, সে সম্পর্কে এখন নির্দিষ্টভাবে কেউই কিছু বলতে পারছেন না। একইভাবে, ২০২১ সালের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক কবে হবে সেই বিষয়েও নির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।
সাধারণত প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক (Madhayamik) পরীক্ষা শুরু হয়। আর উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary Exam) শুরু হয় মার্চের প্রথম সপ্তাহের শেষের দিকে। কিন্তু করোনা (Corona) পরিস্থিতিতে এবার আর ২০২১ সালের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি সংশ্লিষ্ট বোর্ড। ফলে কবে পরীক্ষা হবে, এখন সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে পড়ুয়া, শিক্ষক, অভিভাবক সব মহলে।
স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে গত সেপ্টেম্বরে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল নভেম্বর পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে, কালী পুজো মিটলে পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই পরিস্থিতিতে ২০২১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের কাছে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে শিক্ষকদের সংগঠন স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টারস্ অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসস্। বিধানসভা নির্বাচনের কথা বিবেচনা করে আমাগী বছর মার্চ মাসেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে তারা। এক্ষেত্রে একই সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা একদিন অন্তর নেওয়া, পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আলাদা আলাদা কেন্দ্রে একই দিনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক নেওয়া যায় কি না, তা ভেবে দেখার জন্য ফোরামের তরফে শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে মোট সিলেবাসের ৭০ শতাংশ নিয়ে নতুন করে সিলেবাস ও নম্বর বিভাজন করে তা প্রকাশ করার পক্ষে জোর সওয়াল করেছে এই শিক্ষক সংগঠনটি। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক উভয় ক্ষেত্রেই প্রশ্নের ধরণ বদলে MCQ ধাঁচে করা যায় কিনা, তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার প্রস্তাবও গিয়েছে শিক্ষা দফতরের কাছে।
দ্বিতীয় বার সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ছে বিভিন্ন দেশে। এই মহামারীর শৃঙ্খল ভাঙতে ইউরোপ এবং আমেরিকার একাধিক দেশে নতুন করে জারি হয়েছে লকডাউন। ফলে কোভিড ঘিরে বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে। যদিও ভারতে সংক্রমণের ঘটনা নিম্নমুখী। রবিবারের তুলনায় সোমবার ৩.৬ শতাংশ কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হাজারে নেমে এসেছে। এর ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮২.২৯ লাখ। আর পশ্চিমবঙ্গে রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৯৮৭ জন মানুষ। সেইসঙ্গে তুলনামূলকভাবে কমছে মৃত্যুর সংখ্যাও। নতুন করে বাংলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৫৯ জনের। রাজ্যে এখন সুস্থতার হার ৮৮.৪৪ শতাংশ।