ঘুরে ঘুরে সাংবাদিক সম্মেলন করাটা রাজ্যপালের কাজ নয়, কটাক্ষ সুজন চক্রবর্তীর
রাজ্যপালের কাজ নয় ঘুরে ঘুরে সাংবাদিক সম্মেলন করা। রাজ্যপালের কাজ দিল্লিকে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে জানানো। আজ বারাসতে ন্যায্যমূলের সবজি বাজার পরিদর্শন করতে এসে এভাবেই রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর। একই সঙ্গে তিনি বলেন রাজ্য আইন শৃঙ্খলা তলানিতে সেটা আমরাও বলছি। কিন্তুু রাজ্যপালকে নিজেদের ধর্না মঞ্চে এনে রাজনীতি যারা করেছিল বিরোধী থাকাকালীন, তারা আজ ক্ষমতায়। তারা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বলে কি করে প্রশ্ন বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তীর। এইদিন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) দাবী করেন, তাঁরা দেশে রাজ্যপালের পদটাই চান না। আর এই রাজ্যপাল রাজনীতির ক্রীড়ানক বা অংশিদার হোক এটা তাঁরা চান না। তিনি এইদিন বলেন রাজ্যপাল রাজ্যকে কী ভাবে দেখেন সেটা বড় কথা নয় বরং রাজ্যপালকে শাষক ও বিরোধীরা কী ভাবে দেখছে সেটাই বড় কথা।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সমালোচনায় সরব বামনেতা সুজন চক্রবর্তী এদিন বলেন এই রাজ্যপাল কখনও কখনও তাঁর সাংবিধানিক গন্ডির বাইরে যাচ্ছেন। এইদিন সুজন চক্রবর্তীর দাবী করেন রাজ্যপালের সাংবিধানিক গন্ডির বাইরে যাওয়াকে তাঁরা আপত্তি জানাচ্ছেন। একই সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) পাহাড় সফরকে কটাক্ষ করেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন দার্জিলিং খুব সুন্দর জায়গা। পাহাড়ের মানুষ সৎ ও বিশ্বাসী। দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) রাজ্যপাল ১৫ দিনের বদলে এক মাস থাকুন। কোনও অসুবিধা নেই। তবে রাজ্য বিজেপির বাড়বাড়ন্ত এর জন্য ফের তৃনমূলকে দায়ী করেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন বিজেপি কেন্দ্রে রয়েছে। সিবিআই যদি সারদ, নারদার তদন্ত সঠিকভাবে করত তাহলে তৃনমূল কংগ্রেস দলটাই উঠে যেতে। কিন্তুু সেই তদন্ত হচ্ছে না। আসলে বিজেপি (BJP) ও তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool) মধ্যে সমঝোতা রয়েছে একে অপরকে বাঁচানোর অভিযোগ সিপিএম (CPM) নেতা সুজন চক্রবর্তীর। তাঁর দাবী এই রাজ্যে তৃনমুলের বিকল্প শক্তি হিসাবে বাম ও গনতান্ত্রিক শক্তিই উঠে আসছে। সেই শক্তিতে কংগ্রেস আছে। কেরলে কংগ্রেস (Congress) ও বামেদের বিরোধিতা এই রাজ্য কোন প্রভাব ফেলবে না বলে দাবী বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর।