দিদিদের ওষুধেই হয়তো সুশান্তের মানসিক অবসাদ, আদালতে হলফনামা মুম্বই পুলিশের
সুশান্ত সিংহ রাজপুত (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু মামলায় এ বার নয়া মোড়। কোনও রকম পরীক্ষা না করেই সুশান্তকে হতাশা এবং উদ্বেগ কাটানোর ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁর দুই দিদি। মুম্বই পুলিশের (Mumbai Police) ধারণা, এর পরেই হয়তো অভিনেতার মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটে। বম্বে হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে এ কথা জানিয়েছে পুলিশ। এও বলা হয়েছে, সুশান্তের দুই দিদি প্রিয়ঙ্কা সিংহ (Priyanka Singha) এবং মিতু সিংহের (Mitu Singha) বিরুদ্ধে নিয়ম মেনেই এফআইআর (FIR) দায়ের হয়েছে। হলফনামায় পুলিশ জানিয়েছে, সুশান্তের দুই দিদির বিরুদ্ধে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty) অভিযোগই ‘অপরাধের প্রকৃতি বলে দিচ্ছে’।
নিজেদের বিরুদ্ধে মামলা রদ করতে ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রিয়ঙ্কা এবং মিতু। কিন্তু সেই আবেদন যাতে খারিজ করা হয় সে জন্য পাল্টা হলফনামা জমা দেয় মুম্বই পুলিশও। তাতে জোর দিয়েই বলা হয়েছে, ‘দিল্লির চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে ভুয়ো প্রেসক্রিপশন পাঠিয়েছিলেন ২ আবেদনকারী, যেখানে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের জন্য উগ্বেগ এবং হতাশা কাটায় এমন ওষুধের নাম লেখা ছিল’। উপযুক্ত পরীক্ষা ছাড়া এমন ওষুধ খাওয়ার ফলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে সুশান্তের আচরণেও পরিবর্তন এসেছিল বলে মনে করছে পুলিশ। তার ফলে হয়তো সুশান্তের মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটেছিল বলে হলফনামায় জানিয়েছে পুলিশ।
সুশান্তের ২ দিদির বিরুদ্ধে যাতে মামলা তুলে নেওয়া না হয় সে জন্য গত সপ্তাহেই বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেন রিয়া। তাঁর অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৮ জুন সুশান্ত এবং তাঁর দিদি প্রিয়ঙ্কার মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে ওষুধপত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তার ৬ দিনের মাথায় অর্থাৎ গত ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থা সুশান্তের দেহ উদ্ধার হয়। রিয়ার আরও অভিযোগ, প্রিয়ঙ্কা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজে করে লিব্রিয়াম, মেক্সিটো এবং লোনাজেপ– এই তিনটি ওষুধের নাম লিখে পাঠান। ওই ওষুধগুলি রোগীদের হতাশা বা উদ্বেগ কাটাতে সাধারণত দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
গত কালই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI) আদালতকে জানিয়ে দেয়, সুশান্তের দিদিদের বিরুদ্ধে রিয়ার এই অভিযোগ ‘অনুমানমূলক এবং কল্পনাপ্রসূত’। তবে এ সব অভিযোগ মূল তদন্তের অংশ হতে পারে বলেও জানিয়েছে সিবিআই। বুধবার ওই মামলার শুনানি।