‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পে বিতরণের জন্য আরও ২০ লক্ষ সাইকেল কিনছে রাজ্য
ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষায় আগ্রহ বাড়ানো, ড্রপআউট কমানো-সহ বহুমুখী উদ্দেশ্যে নিয়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে সাইকেল দেওয়ার প্রকল্প ‘সবুজ সাথী’ শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ইতিমধ্যেই যে প্রকল্পে মোট ৮৪ লক্ষ সাইকেল বিলি করা হয়েছে, কন্যাশ্রীর মতো মিলেছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মান। স্বীকৃতি এসেছে অমর্ত্য সেনের প্রতীচী ট্রাস্ট থেকেও। সেই প্রকল্পেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল আরও ১০ লক্ষ সাইকেল কেনার। সেই মতো টেন্ডারও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে এই বছর ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পে ২০ লক্ষ সাইকেল কেনার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
এই প্রকল্পের দায়িত্বে আছে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। দফতরের মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ (Binay Krishna Barman) বলেন, ‘চলতি বছরে ইতিমধ্যে ২ লক্ষ সাইকেল বিলি করা হয়েছে। আরও ১০ লক্ষ সাইকেল বিলি করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল পাওয়ার জন্য যারা যোগ্য, সে রকম এক জন পড়ুয়াও যেন সাইকেল থেকে বঞ্চিত না-হয়। তাই, আরও ১০ লক্ষ সাইকেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, সাইকেল নির্মাতা ও সরবরাহক সংস্থাগুলোকে নিয়ে পুজোর ছুটির আগেই বৈঠক করেন অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের অতিরিক্ত সচিব বিজন মণ্ডল ও পশ্চিমবঙ্গ তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও বিত্ত নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পার্থপ্রতিম মান্না।
প্রশাসন সূত্রের খবর, সাইকেল সরবরাহ ও বিলি-বণ্টনের জেলাওয়ারি সূচী তৈরি করেছে দফতর। যাতে স্কুল পাকাপাকি ভাবে না-খুললেও পড়ুয়াদের সাইকেল পেতে কোনও সমস্যা না-হয়। সেই জন্য শনি ও রবিবারের পাশাপাশি সব ছুটির দিনেও কাজ করতে বলা হয়েছে কর্মী ও অফিসারদের। মন্ত্রী বিনয়ের বক্তব্য, ‘সবুজ সাথী (Sabooj Sathi Prakalpa) একটি চালু প্রকল্প। তাই, কয়েক মাস পর নির্বাচন কমিশনের বিধি কার্যকর হলেও সাইকেল বিলির ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না।’ তবে মন্ত্রী জানাচ্ছেন, বহু স্কুলই পড়ুয়াদের প্রকৃত সংখ্যা পাঠায়নি। দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে, স্কুলগুলোকে অনলাইনে পড়ুয়াদের তথ্য জানাতে হবে।