ঋদ্ধির ব্যাটে প্লে অফের স্বপ্ন শেষ কলকাতার
অইন মর্গ্যান-আন্দ্রে রাসেলরা মঙ্গলবার মনে প্রাণে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জয় দেখতে চেয়েছিলেন। মুম্বই জিতলেই প্লে অফে খেলার সুযোগ চলে আসত কলকাতার কাছে। কিন্তু কলকাতার স্বপ্ন ভেঙে দিলেন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) এবং হায়দরাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। অজি ওপেনার ৮৫ রানে অপরাজিত থাকলেন। ঋদ্ধিও ৪৫ বলে অপরাজিত থেকে যান ৫৮ রানে। দাপটের সঙ্গে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথমে গ্লাভস হাতে নজর কাড়েন ঋদ্ধি। ফর্মে থাকা মুম্বইয়ের সূর্যকুমার যাদবকে স্টাম্পড করেন এবং সৌরভ তিওয়ারির ক্যাচ ধরেন। তার পর ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। শুরুতে নিজে আক্রমণ করলেন। পরে ওয়ার্নার যখন আক্রমণ করছেন, ঋদ্ধি তখন নিজের গিয়ার বদলে ফেলেন। এ বারের আইপিএলে তিনি ওপেন করতে নামার পর থেকেই সিদ্ধিলাভ হয় হায়দরাবাদের। টুর্নামেন্টের প্রথম দিন থেকে জনি বেয়ারস্টো ও ওয়ার্নার ওপেন করছিলেন। ঠিকঠাক গতি পাচ্ছিল না ইনিংস। ওয়ার্নারকে দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি নিজের সেরা ছন্দে নেই। ঋদ্ধি ওপেন করতে নামার পর থেকেই বদলে গেল দলের চেহারা। বদলে গেল ওয়ার্নারের ব্যাটিং। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে মারমুখী ৮৭ রানের ইনিংস খেললেন বাংলার উইকেট কিপার। তার আগে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিলেন। সেটাও আবার পুরনো দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে। নেমেছিলেন মিডল অর্ডারে। রান আউট হওয়ার আগে করেন ৩০ রান। দিল্লির বিরুদ্ধে আচমকাই তাঁকে পাঠানো হয় ওপেন করতে। এখনও পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ২১৪ রান করেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে ২টি পঞ্চাশ। ওই ৪টি ম্যাচেই নিন্দুকদের জবাব দিয়ে দেন। তাঁর ব্যাটিং নিয়ে তো কত কথাই না বলেছিলেন সমালোচকরা। কম কথার মানুষ তিনি। পারফরম্যান্স তাঁর হয়ে কথা বলে এসেছে সব সময়।
২০১৪ সালের আইপিএল ফাইনালে (IPL 2020) কেকেআরের বিরুদ্ধে ১১৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ঋদ্ধি। আজও চোখের সামনে ভাসে ক্রিকেটপ্রেমীদের। যদিও সে বার শেষ হাসি হেসেছিল নাইটরাই। তখন অবশ্য ঋদ্ধির জার্সির রং ছিল অন্য। তিনি তখন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের। শারজায় কমলা জার্সিতে ঋদ্ধি হয়তো সে দিনের প্রতিশোধ নিলেন। বাংলার ছেলে হয়েও কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজিতে না থাকার যন্ত্রণা ভুললেন। ঋদ্ধিকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি অবধারিত ভাবে এই প্রশ্ন এড়িয়ে যাবেন। তিনি তো কেবল পারফরম্যান্সই করে এসেছেন। কথা বলেছেন কম।