ছট পুজোয় সংক্রমণ ও ভিড় ঠেকাতে জলাশয় ও ঘাটের সংখ্যা বাড়াচ্ছে কলকাতা পুরসভা
ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে করোনা সংক্রমণ। এমন আবহেই পালন হবে ছট পুজো। তাই কোভিডবিধি (COVID-19) বেঁধে দিয়েছে সরকার। তাই এবার ভিড় এড়াতে গতবারের তুলনায় বেশি জলাশয় ও ঘাটের ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুরসভা (KMC)। শুক্রবার সে কথা জানিয়ে দিলেন পুরমন্ত্রী ও পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “সংক্রমণ রুখতে পুন্যার্থীরা যাতে ফাঁকায় ফাঁকায় পুজো দিতে পারেন তাই এবছর গতবারের চেয়ে শহরে বেশি সংখ্যায় জলাশয় ও ঘাট তৈরি করে দিচ্ছে কেএমডিএ। জমায়েত না করে ভিড় এড়িয়ে গঙ্গার ঘাটেও দূরত্ব রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্রত পালন করতে আবেদন রাখছি।”
হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ছটপুজোর কোনও শোভাযাত্রা বা বাজি ফাটানো যাবে না বলেও জানিয়ে দিলেন পুরমন্ত্রী ও পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, যদিও এবছর শর্তসাপেক্ষে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করতে দেওয়ার জন্য পরিবেশ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে রাজ্য সরকার। সেই আপিলের শুনানি হবে ১৬ নভেম্বর।একদিকে জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়ে রবীন্দ্র সরোবরে নিষেধাজ্ঞা অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় হাই কোর্টের রায়। বস্তুত দুই আদালতের দুই দফা নিষেধাজ্ঞার জেরে এবছর একগুচ্ছ বাড়তি প্রস্তুতি ও সতর্কতা নিচ্ছে কেএমডিএ এবং কলকাতা পুরসভা। বিশেষ করে পুজোয় শহরে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন কেএমডিএ গতবছরের চেয়ে এবছর বেশি সংখ্যায় জলাশয় ও ঘাট তৈরি করছে।
মাস্ক না পরে এলে ঘাটে আসতে দেওয়া হবে না পুণ্যার্থীদের। তবে পুরমন্ত্রী জানান,“মাস্কহীন পূণ্যার্থীদের পুরসভাই মাস্ক পরিয়ে ঘাটে পাঠাবে।” শুক্রবার পুরভবনে কেএমডিএ, পুরসভা, বন্দর, সেচ ও পুলিশকে নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠকও করেন পুরমন্ত্রী। পরে তিনি জানান, পরিবেশ সংরক্ষণে রবীন্দ্র সরোবরের বিকল্প হিসাবে কলকাতায় নতুন ১৬টি জলাশয়ে ৪৪টি এবং গঙ্গায় ১৬টি ঘাটেও এবছর ছটপুজোর ব্যবস্থা করছে পুরসভা ও কেএমডিএ। এছাড়াও বন্দরের ১০ নম্বর গেটও পুন্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। কেএমডিএ-র তরফে সমস্ত বিকল্প জলাশয়েই আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর, ছটপুজোর দু’দিনই জেনারেটর-আলো, পানীয় জল, বায়ো টয়লেট, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম, ডুবুরি, সাউন্ড সিস্টেম-সহ যাবতীয় প্রস্ততি রাখা হবে। গতবছর ৪১টি ঘাট করলেও অর্ধেক মানুষ বিকল্প জলাশয়ে না গিয়ে গেটের তালা ভেঙে রবীন্দ্রসরোবরেই ব্রত পালন করেন। প্রায় ৩৫ হাজার পুন্যার্থী ধর্মীয় ভাবাবেগের টানে সরোবরে পুজো সম্পন্ন করেন বলে পুলিশের রিপোর্ট।