উত্তরবঙ্গের সাতজন ‘বীরপুরুষ’ এবং ‘বীরাঙ্গনা পুরস্কৃত হবে কলকাতায়
কেউ নাবালিকা বলে নিজের বিয়ে নিজেই রুখে দিয়েছে। কেউ রুখেছে শিশুপাচার, ইভটিজিং। আবার কেউ নিজের পড়াশুনার খরচ নিজেই জোগাড় করেছে জুতো সেলাই করে। সরকারের চোখে এরা কেউ বীরপুরুষ। কেউ বা বীরাঙ্গনা। আগামী ২০ নভেম্বর, আন্তর্জাতিক শিশু সুরক্ষা অধিকার দিবসে রাজ্য সরকারের তরফে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) এমনই সাতজনকে পুরস্কৃত করবে রাজ্য সরকার (State Government)। আলিপুরদুয়ারের পাঁচজন এবং জলপাইগুড়ি ও মালদহ জেলার একজন করে রয়েছেন। কলকাতার রবীন্দ্র সদনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ দপ্তর থেকে তাঁদের পুরস্কৃত করা হবে।
বাল্য বিবাহ, শিশু পাচার, ইভটিজিং বন্ধে ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে ভালো কাজের সুবাদের আলিপুরদুয়ারের পাঁচ আদিবাসী নাবালিকা রাজ্য সরকারের ‘বীরঙ্গনা’ পুরস্কার পাচ্ছে। পাঁচজনেরই বাড়ি চা বাগানে। জেলাশাসক সুরেন্দ্রনাথ মিনা বলেন, এটি খুবই খুশির খবর। পুরস্কার নিতে ওই পাঁচ নাবালিকাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা প্রশাসনের তরফে করা হচ্ছে।
বীরপাড়া চা বাগানের ১৬ বছরের বীণা টোপ্পো, লঙ্কাপাড়া চা বাগানের ১৭ বছরের লক্ষ্মী রায়, বীরপাড়ার দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া রাশিতা চিকবরাইক, ভাতখাওয়া চা বাগানের ১৫ বছরের নাবালিকা সরোজিনী চিকবরাইক ও বীরপাড়ার পার্ক লাইনের ১৭ বছরের অঞ্জলি খেঁড়িয়া কলকাতায় যাবে পুরস্কার নিতে।
কী করেছে জেলার এই পাঁচ বীরাঙ্গনা? জেলা সমাজকল্যাণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বীণা বীরপাড়া চা বাগান এলাকায় বাল্যবিবাহ বন্ধে দারুণ কাজ করেছে। লঙ্কাপাড়া চা বাগানের লক্ষ্মী প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে এলাকায় দু’টি বাল্য বিবাহ রুখে দিয়েছে। রাশিতা তার এলাকায় পুলিসের সাহায্য নিয়ে দু’বার শিশু পাচারের চেষ্টা রুখে দিয়েছিল।