রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

১৯০টি অস্থায়ী স্টল থেকে ২৫ টাকা/কেজি দরে আলুর যোগান দিচ্ছে রাজ্য সরকার

November 7, 2020 | 2 min read

ছবি সৌজন্যেঃ Millennium Post

সরকারি স্টল থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। জেলা বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও স্টল খোলার দাবি উঠছে। রাজ্যের সিদ্ধান্ত মতো ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করছে নদীয়া জেলার কৃষি বিপণন দপ্তর। গত ৪ নভেম্বর থেকে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় হাজার কুইন্টাল আলু এসেছে জেলায়।  ধাপে ধাপে মোট ২৫ হাজার কুইন্টাল আলু ঢুকবে ব঩লে জানা গিয়েছে। প্রত্যেক ব্লক, পুরসভায় খুব কম হলেও ছ’টি করে স্টল করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে স্টল খুলতে দেরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল অবধি জেলায় ১৬টি স্টল থেকে আলু বিক্রি হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রায় পাঁচ হাজার জন বিভিন্ন সেলিং পয়েন্ট থেকে আলু কিনেছেন। বস্তুত সব জায়গাতেই আলু কেনার লাইন ক্রমশ লম্বা হচ্ছে। 

১৯০টি অস্থায়ী স্টল থেকে ২৫ টাকা/কেজি দরে আলুর যোগান দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

এমনকী জরুরি কাজে যাওয়ার পথেও বা অফিসে ঢোকার আগেই ‘অফিসবাবু’ হয়ে কেউ কেউ দাঁড়িয়ে পড়ছেন আলু কেনার লাইনে, এমন দৃশ্যও চোখে পড়ছে জেলায়। বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গিরপুর কৃষক বাজারের স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা সরকারি চাকুরিজীবী অনন্ত রায় বলেন, খুচরো বাজারে আলুর দর ৪০ টাকা কেজি। সেদ্ধ ভাত খেতে হলেও আলুর প্রয়োজন। এ দিন অফিসের কাজে এদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম।  দেখতে পাই  সরকারি স্টলে আলু ২৫ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।  বেশি কিছ না ভেবেই আলু কিনে ফেললাম।  কৃষি বিপণন দফতরের এক কর্মী বলেন, অনেকে নতুন ব্যাগ কিনে আলু নিয়ে যাচ্ছেন।
আলু নিতে লাইন পড়ছে। তাতেই বোঝা যাচ্ছে আলুর চাহিদা জেলায় কতটা রয়েছে। সরকারি স্টলে আলু বিক্রির কাজে যুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক মহিলা বলেন, আমরা সর্বোচ্চ তিন কিলো করে আলু দিচ্ছি একজন ব্যক্তিকে। যতক্ষণ আমাদের কাছে আলু থাকছে, আমরা দিচ্ছি। যদিও জেলার বিভিন্ন জায়‌গা যেমন, চাপড়া, হাঁসখালি, কালীগঞ্জ, করিমপুর, তেহট্ট থেকে বিভিন্ন জায়‌গায় এমন স্টল করার দাবি তোলা হয়েছে। নদীয়া জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির সেক্রেটারি দীপক বিশ্বাস বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন জায়গায় স্টল করে আলু বিক্রি হচ্ছে। স্টলের সংখ্যা প্রত্যেকদিনই বাড়ানো হচ্ছে। বাজারে আলুর দাম অনেকটাই বেশি থাকায় দ্রুত এই আলু বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। স্টল আরও বাড়বে, চিন্তার কিছু নেই। কৃষ্ণনগর-রানাঘাটের খুচরো বাজারে এখনও আলুর দাম ৪০ টাকা কেজি। কবে কমবে আলুর দাম? কৃষ্ণনগর শহরের পাত্রাবাজারের এক আলু ব্যবসায়ী বলেন, দাম কমতে আরও এক মাস সময় লাগতে পারে। আমাদের কিছু করার নেই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Sufal Bangla Stall, #GOVT OF WEST BENGAL, #potatoes, #Nadia

আরো দেখুন