লোকাল ট্রেনে অব্যবহৃত মান্থলি রিনিউ কাল থেকে
বাকি আর ঠিক তিন দিন। আগামী বুধবার থেকে চলবে লোকাল ট্রেন। সাড়ে সাত মাস পর। এই সময়ের মধ্যে বহু নিত্যযাত্রীর মান্থলির মেয়াদ ফুরিয়েছে। টাকা জলে গেল কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছিল। সমস্যা নিরসনের আশ্বাস অবশ্য আগেই দিয়েছিল রেল। জানানো হয়েছিল, লকডাউনের কারণে মান্থলি যে ক’দিন ব্যবহার করা যায়নি, ততদিনের মেয়াদ বাড়ানো হবে। রেল সূত্রের দাবি, আগামীকাল সোমবার থেকে শিয়ালদহ-হাওড়া শাখায় সিজন টিকিট রিনিউয়ের সেই প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে। মান্থলির পাশাপাশি কোয়ার্টারলি, হাফ-ইয়ারলি, ইয়ারলি টিকিট নবীকরণ করা হবে। যাত্রীরা যে স্টেশন থেকে মান্থলি কেটেছিলেন, সেখানেই এই পরিষেবা পাবেন। সেখানে যাত্রীদের মেয়াদ উত্তীর্ণ সিজন টিকিটের উপর বর্ধিত মেয়াদ লিখে দেওয়া হবে। নতুন মান্থলি ইস্যু করা হতে পারে।
রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এর জন্য অযথা হুড়োহুড়ি করার দরকার নেই। যাত্রীরা সুবিধামতো সময়ে কাউন্টারে এলেই হবে। আগামী সোমবার লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার আদর্শ আচরণবিধিও জারি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রের দাবি, স্টেশন চত্বরে ঢোকার সময় ফেস কভার কিংবা মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। হাত স্যানিটাইজ করতে হবে। স্টেশনে ঢোকা ও বেরনোর পথে রাজ্য ও রেল পুলিসের কড়া নজরদারি থাকবে। টিকিট কাটা থেকে ট্রেনে ভ্রমণ— সর্বত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলে যাত্রী আসনে মেট্রোর মতো বিশেষ চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে দীঘা, পাশকুড়া, খড়গপুর, মেচেদা, শালিমার, সাঁতরাগাছি, মেদিনীপুর সহ ওই শাখায় মোট ৮১টি ট্রেন চলবে। ৪০টি আপ ও ৪১টি ডাউন। করোনা-পূর্ব সময়ে এই শাখায় ১৯৪টি ট্রেন চলত। পূর্ব রেলে অবশ্য বুধবার থেকে মোট ৬১৫টি ট্রেন চলবে। ৪১৩টি শিয়ালদহ ও ২০২টি হাওড়া ডিভিশনে। এত বিপুল সংখ্যক ট্রেনে যাত্রী আসনে দাগ দেওয়া সম্ভব নয়।