পোড়ামাটির হাটে দু’দিনে বিক্রি আড়াই লক্ষ টাকার সামগ্রী, খুশি শিল্পীমহল
করোনা আবহে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির হাট। প্রায় আটমাস পর তা খোলে। তাতেই দু’দিনে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার হস্তশিল্প সামগ্রী বিক্রি হয়েছে। দীর্ঘদিন বসে থাকার পর উপার্জনের মুখ দেখতে পেয়ে হতাশাগ্রস্ত শিল্পীদের মুখে হাসি ফুটেছে। এর জন্য তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী ও মহকুমা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার প্রকোপের জেরে গত মার্চ মাস থেকেই পোড়ামাটির হাট বন্ধ ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত ৭ নভেম্বর পোড়ামাটির হাটের (Poramatir Hat) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। পর্যটকদের সুবিধার্থে শনি ও রবি পরপর দু’দিন হাট বসানো হয়। প্রথম দু’দিনেই হাটে বালুচরি, স্বর্ণচরি শাড়ি সহ পোড়ামাটি ও অন্যান্য হস্তশিল্পের প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার সামগ্রী বিক্রি হয়েছে। এতে শিল্পীরা ভীষণ খুশি হয়েছেন।
বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপকুমার দত্ত বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে পর্যটনকেন্দ্রিক হস্তশিল্পীরা ভীষণ আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন। সেই জন্য মুখ্যমন্ত্রীর(Mamata Banerjee) নির্দেশে পোড়ামাটির হাট চালু করা হয়। পর্যটকরা যাতে দু’দিন ধরে কেনাকাটা করতে পারেন, তার জন্য শনি ও রবি দু’দিন ধরে হাট বসানো হচ্ছে। শুরুতেই ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে। প্রথম সপ্তাহেই প্রায় ৩০০ জন পর্যটক পোড়ামাটির হাটে এসেছিলেন। সব মিলিয়ে হাটে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার শিল্প সামগ্রী বিক্রি হয়েছে।
এছাড়াও হাটে আদিবাসী ও অন্যান্য লোক শিল্পীদের দিয়ে অনুষ্ঠান করানো হয়েছে। দীর্ঘদিন পর সাংস্কৃতিক চর্চা করতে পেরে তাঁরাও খুশি হয়েছেন।
শিল্পীরা জানিয়েছেন, দু’বছর আগে পোড়ামাটির হাট চালুর পর থেকে আমরা নিজেদের তৈরি শিল্পসামগ্রী বিক্রির জন্য একটা নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ আটমাস আমাদের ঘরে বসে থাকতে হয়। চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। তাই পর্যটনকেন্দ্র (Tourism Hub)খোলার পর আমরা প্রশাসনের কাছে হাট চালুর দাবি জানিয়েছিলাম। শুরুতেই বিক্রি ভালো হওয়ায় আমরা খুশি।