২৫টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির হিড়িক সুফল বাংলা স্টলে
আকাশ ছোঁয়া আলুর (Potato) দাম নিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। ৪০ থেকে ৪২ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়েছে আলু।
সেপ্টেম্বর মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় আলু ও পেঁয়াজকে। তারপর থেকে দাম বেড়ে চলেছে। এই নিয়ে মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)।
আলুর মূল্যবৃদ্ধি থেকে সাধারণ মানুষকে কিছুটা রেহাই দিতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। পুজোর ঠিক আগে থেকে সুফল বাংলা এবং বিভিন্ন স্টলে জ্যোতি আলু ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করে তারা। তাতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। এক মাসের মধ্যেই প্রায় ২০০০ কুইন্টাল (২ লাখ কেজি) আলু বিক্রি হয়ে গিয়েছে। চাহিদা তুঙ্গে থাকায় প্রতিদিনই এই জেলায় সরকারি স্টল থেকে আলু কেনার পরিমাণ বাড়ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচটি সুফল বাংলা কেন্দ্র (Sufal Bangla Stall) ছাড়াও সব মিলিয়ে প্রায় ৫০টি স্টল ও কাউন্টার খুলে আলু বিক্রি হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, কাউন্টার খুলতে না খুলতেই লম্বা লাইন পড়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও চাহিদা এতটাই বেশি থাকছে যে, স্টল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই মজুত আলুও শেষ হয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিপণন বিভাগ, সুফল বাংলা, জেলা প্রশাসন এবং নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির যৌথ উদ্যোগে গোটা কাজটি হচ্ছে। প্রতিটি ব্লকেই কমবেশি চাহিদা আছে। তবে ভাঙড় এক ও দুই নম্বর ব্লক, ডায়মন্ডহারবার এবং কাকদ্বীপ মহাকুমার বিভিন্ন এলাকায় আলুর চাহিদা বেশি বলেই জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের কর্তারা বলেন, এর আগে কখনও আলুর দাম এই পর্যায়ে পৌঁছয়নি। তাই সরকার অনেক কম দামে আলু বিক্রি করলে, তাতে যে ভালো সাড়া মিলবে, সেটাই প্রত্যাশিত। হুগলি থেকে ২২ টাকা কেজি দরে আলু কিনে আনা হচ্ছে এই জেলায়। তারপর তা ২৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কম দামে আলু বিক্রি চলবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির সেক্রেটারি তমাল দাস বলেন, এখনও পর্যন্ত আলু বিক্রিতে ভালোই সাড়া মিলেছে। জেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতেও এই সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। কারণ