পঞ্চায়েতের সব জলপ্রকল্পের দায়িত্বে এবার পিএইচই
পঞ্চায়েত প্রকল্পগুলি চালানোর দায়িত্ব পেলেও এর খরচ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর দিত। জল প্রকল্পের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করত স্থানীয় পঞ্চায়েতগুলি। জল প্রকল্পের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে তা নিয়ে কিছুটা টানাপোড়েন চলছিল সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েতগুলি (Panchayet) এই দায়িত্ব ছাড়তে চাইছিল না। এজন্য হস্তান্তর সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে কিছুটা দেরিও হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। শেষপর্যন্ত কর্মী-সহ যাবতীয় দায়িত্ব জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে হস্তান্তর করা হয়েছে। যৌথ নির্দেশিকায় পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জল প্রকল্পগুলি হাতে নেওয়ার পর পঞ্চায়েত সেখানে কোনও অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করে থাকলে তাদের কোনও দায়িত্ব জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর নেবে না।
গ্রামীণ জল প্রকল্পের কর্মীদের (Irrigation And Waterways Department) সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের প্রবীণ নেতা মনোজ চক্রবর্তী, কর্মী সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। জল প্রকল্পগুলি পঞ্চায়েতের হাতে আসার আগে থেকে যেসব কর্মী কাজ করছিলেন, তাঁদের বেতন-সহ বেশকিছু ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেটা আর থাকবে না বলে তাঁর আশা।
দুই দপ্তরের যৌথ নির্দেশিকায় জল প্রকল্পগুলিতে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কিছু দায়িত্ব অবশ্য রাখা হয়েছে। জলের অপচয়, জল চুরি প্রভৃতি হচ্ছে কি না সেব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েতকে নজর রাখতে হবে। জলের গুণগত মানের উপর নজর রাখার দায়িত্বও পঞ্চায়েতকে দেওয়া হয়েছে।
জল সরবরাহ সংক্রান্ত গ্রামবাসীদের অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য পঞ্চায়েতকে একটি বিশেষ সেল গঠন করতে হবে। ওই সেলের রেজিস্টারে কোনও অভিযোগ দাখিল হলে সেব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকদের জানানোর দায়িত্ব পঞ্চায়েতের। তিনমাস অন্তর জল প্রকল্পগুলির কাজকর্ম পর্যালোচনা করার জন্য পঞ্চায়েতকে নিয়ে সমিতি বৈঠক করবে। সেখানে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরাও থাকবেন। জেলা পরিষদ প্রকল্পগুলির উপর নজর রাখবে। প্রকল্পগুলির কাজকর্ম নিয়ে পঞ্চায়েতকে প্রতি মাসে রিপোর্ট দিতে হবে জেলার নির্দিষ্ট কমিটিকে।