রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ধান বিক্রির টাকা কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে সক্রিয় খাদ্যদপ্তর

November 14, 2020 | 2 min read

কৃষকদের (Farmers) কাছে ধান বিক্রির টাকা যাতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পৌঁছয়, তার জন্য সক্রিয় রয়েছে খাদ্য দপ্তর। গত ২০১৯-২০ খরিফ মরশুমে কিছু সংখ্যক চাষির কাছে ধান বিক্রির টাকা পৌঁছয়নি। এই বিষয়টি নজরে আসার পর খাদ্য দপ্তর ওই চাষিদের টাকা মেটানোর ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। কীভাবে ওই চাষিদের টাকা মেটানো হবে, সে ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। খাদ্য দপ্তরের প্রধান সচিব পারভেজ সিদ্দিকি জানিয়েছেন, মোট কৃষকের তুলনায় টাকা না পাওয়া কৃষকের সংখ্যা খুবই কম। ১৪ লক্ষের বেশি কৃষকের কাছ থেকে সরকার গত খরিফ মরশুমে ধান কিনেছিল। সেখানে মাত্র প্রায় ১১০০ কৃষক এখনও দাম পাননি বলে দেখা গিয়েছে। খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা মনে করছেন, ধান বিক্রির সময় যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তাতে কোনও ভুল ত্রুটি থাকার জন্য টাকা না পৌঁছতে পারে।

কিন্তু তা সত্বেও ওই ধান বিক্রির টাকা যাতে কোনও অবস্থাতেই প্রকৃত কৃষক ছাড়া অন্য কারোর কাছে পৌঁছে না যায়, তার জন্য বিশেষ সতর্কতা মৃলক ব্যবস্থা নিচ্ছে খাদ্য দপ্তর। ধান (Paddy) বিক্রির তিন দিনের মধ্যে টাকা পেয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু অল্প সংখ্যক হলেও কেন ওই কৃষকদের কাছে টাকা পৌঁছয়নি সেই প্রশ্ন উঠছে কিছু মহলে। টাকা না পাওয়া কৃষকদের পাওনা কিভাবে মেটাতে হবে, সেটা দপ্তরের জারি করা নির্দেশিকায় পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত খরিফ মরশুমে ধান বিক্রি করার পরও কোন কৃষকরা টাকা পাননি, তার তথ্য খাদ্য দপ্তরের কাছে আছে। ওই কৃষকের নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরে ওই ধান যে পারচেজ অফিসারের মাধ্যমে কেনা হয়েছিল তিনি যোগাযোগ করবেন। কৃষককে নির্দিষ্ট দিনে তাঁর কাছে আসতে বলবেন পারচেজ অফিসার। ব্যাঙ্কের পাশ ও চেক বুক এবং সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে তাঁকে আসতে হবে।

কৃষক আসার পর যদি দেখা যায়, অ্যাকাউন্টে নাম ও নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে ছোটখাটো কোনও ভুল করা হয়েছিল তাহলে তা সংশোধন করে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু বড় ধরনের সংশোধন করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে খাদ্য দপ্তরের (Food Department) নির্দেশিকায়। পুরো বিষয়টি রেজিস্টারে নথিভুক্ত করবেন পারচেজ অফিসার। সংশ্লিষ্ঠ কৃষককে খাদ্য দপ্তরের জেলা নিয়ামকের উদ্দেশে লিখিত আবেদন পেশ করতে হবে। পারচেজ অফিসার ওই আবেদন এবং সংশ্লিষ্ঠ নথিপত্র ই-মেইল করে জেলা খাদ্য নিয়ামকের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। জেলা খাদ্য নিয়ামক পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিলে তবেই ধানের দাম মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#paddy

আরো দেখুন