রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

গ্রামোন্নয়নে গতি আনতে ঠিকাদারদেরও প্রশিক্ষণ দেবে রাজ্য

November 15, 2020 | 2 min read

ঠিকাদারদের (Contractor) এবার প্রশিক্ষণ দেবে রাজ্য। নির্মাণকাজে দক্ষতা বাড়িয়ে গ্রামোন্নয়নে গতি আনতে এই অভিনব উদ্যোগ পঞ্চায়েত দপ্তরের। শুধু প্রশিক্ষণ দেওয়া নয়, সরকারি নিয়ম-কানুন পালনের সবকও শেখানো হবে ঠিকাদারদের। সেই মতো কাজ করবেন তাঁরা। চলবে কঠোর নজরদারি। নির্দেশ অমান্য করলেই শাস্তি। কালো তালিকাভুক্ত হতে পারেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। পুজোর ছুটি মিটলে এই প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। বাংলাদেশের ধাঁচে ঠিকাদারদের এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি রাজ্যে প্রথাগত গ্রামোন্নয়নের ধারাকে আমূল বদলে দিতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। দক্ষ ঠিকাদার ও শ্রমিক তৈরিতে ‘ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল’ শীর্ষক একটি কর্মসূচি রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের।

গ্রাম পঞ্চায়েতে যাবতীয় উন্নয়ন (Village Development) কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন ঠিকাদাররা। নতুন রাস্তাঘাট তৈরি, মেরামত, পানীয় জল সরবরাহ, কালভার্ট নির্মাণ, জলাধার তৈরি, সেচ খাল খনন, বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি নির্মাণ সহ একাধিক প্রকল্পের কাজ করেন তাঁরা। আইএএস কিংবা ডব্লুবিসিএস পদ মর্যাদার অফিসার অথবা ইঞ্জিনিয়াররা শুধুমাত্র পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। কিন্তু মাঠে নেমে কাজ করতে হয় ঠিকাদারদের। ফলে তাঁদের দক্ষতার উপর নির্ভর করে কাজের গুণগতমান। পাশাপশি, উন্নয়ন প্রকল্পে আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখা ও সাশ্রয়ের ভারও ঠিকাদারদের কাঁধে। এই সব বিষয়গুলি প্রশিক্ষণ শিবিরে আরও স্পষ্ট করে দেবে পঞ্চায়েত দপ্তর।

এমনিতেই গ্রামোন্নয়নের সঙ্গে জড়িত নির্মাণ সহায়ক, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্য এবং ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। এতদিন ঠিকাদাররা সেই তালিকায় ছিলেন না। তাঁরা ঘোষিত প্রকল্প অনুযায়ী নিজের মতো করে কাজ করতেন। এবার তাঁদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে মূলত তিনটি উদ্দেশ্য পূরণ করতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এক, গ্রাম-বিকাশের যাবতীয় পরিকল্পনাকে সুসংহতভাবে বাস্তবায়িত করা। দুই, সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে আর্থিক দুর্নীতিকে রুখে দেওয়া। তিন, সরকারের নিয়মনীতি সম্পর্কেও ঠিকাদারদের স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করা।

এখন পুজোর ছুটি চলছে। তা মিটলেই জেলায় জেলায় শুরু হবে প্রশিক্ষণ শিবির (Training Centre)। পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে খবর, প্রতিটি জেলা থেকে কমপক্ষে ২০ জন ঠিকাদারকে ট্রেনিং দেওয়া হবে। প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন দফতরের আধিকারিক ও উচ্চপদস্থ ইঞ্জিনিয়াররা। প্রতিটি শিবিরে গ্রামোন্নয়নে বিভিন্ন কাজের মডেলও তুলে ধরবেন তাঁরা। ট্রেনিং শেষে সরকারি প্রকল্পে কাজ করার ছাড়পত্র পাবেন ঠিকাদাররা। সেই কাজ নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠলে রেয়াত করা হবে না। অভিযুক্ত ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে পঞ্চায়েত দপ্তর (Panchayet Department)।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Mamata Banerjee, #Village Development

আরো দেখুন