স্বাস্থ্যে বাকি রাজ্যের থেকে এগিয়ে বাংলা, খতিয়ান তৃণমূলের
কেন নয় আয়ুষ্মান ভারত? কেন স্বাস্থ্যসাথী অনেক ভালো? আজ সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য দিয়ে বোঝালো তৃণমূল। আজ আবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করলো তৃণমূল কংগ্রেস। আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) এবং তৃণমূল নেতা ও মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব (Biswajit Deb)।
বহিরাগতদের বাংলা স্বাগত জানায়। কিন্তু যদি তারা লাল চক্ষু দেখায় তাদের বাংলার মানুষ মানে না। এরা বাংলার সংস্কৃতি বোঝেন না। বাংলার গ্রাম- মানুষদের চেনেন না। তারা এখানে শিক্ষানবিস হয়ে আসুন। বাংলা উন্নয়নের তীর্থস্থান। আমাদের আপত্তি নেই। দিবা স্বপ্ন দেখবেন না।
তৃণমূল ভবনের দৈনিক সাংবাদিক বৈঠকের তৃতীয় দিনে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন তৃণমূল কংগ্রেস মহিলা সমিতির সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chamdrima Bhattacharya)এবং তৃণমূল নেতা ও মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারাল বিশ্বজিৎ দেব (Bishwajit Deb)।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাংলার উন্নয়নের খতিয়ান দিয়ে নেত্রী বলেন, রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে বেড বাড়ানো হয়েছে ২৭০০০ এর বেশি এখন ৮৭৬৫০ টি বেড আছে, উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) বেডের সংখ্যা ৭৬২৬০, কর্নাটকে (Karnataka) বেডের সংখ্যা ৬৯৭২১, মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) ৩১১০৬, গুজরাতে (Gujarat) বেডের সংখ্যা ২০,১৭২। ২০১১ তে ছিল ৫৮০০০
বাংলায় এবছর বাজেট অ্যালোটেশন বেড়েছে ৬.৮%, সেখানে গুজরাটে ৪.৩%।
চন্দ্রীমা দেবী বিরোধীদের বিঁধে আরো বলেন গুজরাট মডেল অনুসরণ করতে গিয়ে আমরা কি তাহলে বাজেট অ্যালোটেশন কমিয়ে দেব?
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে চন্দ্রিমা দেবীর দেওয়া খতিয়ানঃ
- ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে তে বাজেট বেড়েছে ৬.৮%
- কতটা খরচ হয়েছে বাংলায় বাজেট বেড়েছে ৭১৫ কোটি , মধ্যপ্রদেশে ৪০৩ কোটি
- স্বাস্থ্যে অর্থনৈতিক ভাবে লগ্নি হয়েছে গ্রামীণ ক্ষেত্রে ৪০৮৪ কোটি , রুরাল সেক্টরে ২৪১৫ কোটি।
- রাজ্যের শহরাঞ্চলে ফিন্যান্সিং ৪,০৮৪ কোটি টাকা, গ্রামাঞ্চলে ২,৪১৫ কোটি টাকা। কর্ণাটকে শহরাঞ্চলে ১, ৪৩৩ কোটি টাকা, গ্রামাঞ্চলে ১,৪১৩ কোটি টাকা।
- তিনি আরো বলেন অন্য কোন রাজ্যে কি সমস্ত স্তরের সরকারি হাসপাতালে সমস্ত চিকিৎসা ফ্রি হয়? এখানে হয়।
কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে তুলনা টেনে এদিনের বৈঠকে নেত্রী বলেন–
- এখানে ক্লট ব্লাড ব্যাঙ্ক আছে। পুরো উত্তরপূর্ব ভারতে নেই। প্রসবের পরে মায়ের রক্ত যাতে সংরক্ষিত থাকে এবং পরবর্তীকালে স্টেনসেল করিয়ে দুরারোগ্য ব্যাধি সারাতেই এই ভাবনা। মায়েদের বিশ্ব মায়ের চেহারা দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।
- ডিসেম্বর ২০১৬-তে মমতা বন্দোপাধ্যায় স্বাস্থ্য সাথী করেছেন। আয়ুষ্মান ভারত এসেছে অক্টোবর ২০১৮ তে। কে কাকে অনুসরণ করল? আয়ুষ্মান ভারতে টার্গেট ৫০ কোটি। ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ১৩০ কোটি। বাকিরা তাহলে কোথায় যাবে? স্বাস্থ্যসাথীতে পরিবারে লোকসংখ্যার কোন লিমিটেশন নেই। আয়স্মানে কার্ড পিছু ৫ জন। রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৭.৫ কোটি প্রকল্পের আওতায় এসে গিয়েছেন।
- বাংলায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দিতে কোন টাকা নেওয়া হয় না। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সেন্টার সার্ভিস সেন্টারে পরিবার পিছু ১৫০ টাকা দিতে হয়। এই করে ৬,০০০ কোটি টাকা এই বাবদ এসেছে। সেই টাকা কার পকেটে গেছে?
- চন্দ্রীমা দেবী আরো বলেন, ২০১১-র আগে রাজ্যে মেডিকাল কলেজ ছিল ১০ টা, এখন হয়েছে ২৫ টা। ৫ টার নির্মাণের কাজ চলছে। মেডিক্যালে সিট ছিল ১৫০০, এখন এটা বেড়ে হয়েছে ৪০০০।
সবশেষে বিজেপিকে আরো একবার আক্রমণ করে বলেন, “বহিরাগতদের বলছি উন্নয়নের তীর্থে ভ্রমন করে যান, শিখুন। নিজের রাজ্যে গিয়ে সেই শিক্ষা প্রয়োগ করুন।”