← কলকাতা বিভাগে ফিরে যান
বাংলা এবং বাঙালিয়ানাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে: তৃণমূল
বহিরাগতরা বাংলার সংস্কৃতি বোঝেনা। কিন্তু অপরদিকে বাংলা সবাইকে আপন করে নেয়। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য দিয়ে বোঝালো তৃণমূল (Trinamool)। আজ আবার তৃণমূল ভবনে (Trinamool Bhavan) সাংবাদিক সম্মেলন করলো তৃণমূল কংগ্রেস। আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) ।
ব্রাত্য বসুর আজকের বক্তব্যের সংক্ষিপ্তসারঃ —
- বহিরাগতরা বাংলায় এসে ঘোরাফেরা করছে, যারা রবীন্দ্রনাথ, বিরসা মুণ্ডাকে চেনে না। এই তান্ডব বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার এক পরম্পরা
- সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট একজন বাঙালিকে তার মন্ত্রিসভায় রাখছেন, তার নাম অরুণ মুজুমদার। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্ব বাংলার প্রতিফলন
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিশ্ববাংলা- অর্থাৎ, বাংলার মুখ দিয়ে দেশকে দেখা, দেশের মাধ্যমে পৃথিবীকে দেখা, আন্তর্জাতিক স্তরে আজ বাংলাকে তুলে ধরা হচ্ছে।
- একমাত্র রাজ্য বাংলা, যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য
- আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পর্যন্ত বাঙ্গালিয়ানায় মুগ্ধ হয়েছেন- কিন্তু দিল্লী তা পারে না। ৭ বছর ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কোন পূর্ণ বাঙালি ক্যাবিনেট মিনিস্টার নেই, হাফ প্যান্ট পড়া মন্ত্রীদের রেখে দিয়েছে
- ২০১১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর মতুয়া সংঘ থেকে একজন পূর্ণ ক্যাবিনেট মিনিস্টার হিসেবে শপথ নিয়েছেন
- আজ যারা দলিত নমশূদ্র দের নিয়ে রাজনীতি করছে তাদের মন্ত্রিসভায় মতুয়াদের কোন স্থান নেই
- রাম মন্দিরে ১৭ টা মন্দির আছে কিন্তু সেখানে একটাও হরিচাঁদ গুরুচাঁদের মন্দির নেই, বাংলায় আছে,এমনকি তাদের জন্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। তাও ওনারা এসে বলছেন এখানে মন্দির করবেন অথচ যেখানে দরকার সেখানে মন্দির বানাচ্ছেন না
- যারা এসে তান্ডব করছেন তারা বাংলার কি বোঝেন?
- ২০১৯ সালে মতুয়া ঠাকুরবাড়ি থেকেই একজন জনপ্রতিনিধি সাংসদ হয়েছেন অথচ তাকে কোন মন্ত্রিত্বই দেওয়া হয়নি, এতটা অপমান কি তাদের প্রাপ্য ছিল?
- ২০১১ সালে রাজপাল সিং আমাদের এখানে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছে, অথচ অন্য কোন রাজ্যে বাঙালিকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে দেখতে পাবেন না
- আমরা এই উদারতায় বিশ্বাস করি, আমরা সবাইকে নিজের লোক মনে করি
- অর্জুন সিং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায় সাংসদ হয়েছিলেন, তাহলে উত্তরপ্রদেশ থেকে কেন অর্জুন রায় বা গুজরাটে কেন একজন অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ হবেন না?
- ওনারা চান বহিরাগতরাদের দিয়ে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবেন, আর আমাদের মাথা নত করে থাকতে হবে? আমাদের বাঙালি জাতির কি এই দুর্দশা এসেছে?
- একজন গুজরাটি বা উত্তরপ্রদেশের লোককে ও দেখতে পাবেন যারা ব্রিটিশ দের ফাঁসির দড়ি গলায় পরেছে
- আমাদের রাজ্যে ধর্মের ভিত্তিতে লোককে ভাগ করা হয় না, মানুষের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য, সুযোগ সুবিধা দেখা আমাদের সরকারের কর্তব্য, স্বাধীনতা আন্দোলনও বাঙালিদের নেতৃত্বেই হয়েছিল
- যেভাবে অবাঙালিদের দিয়ে সুভাষ বসু কে কোনঠাসা করা হয়েছিল সেই একইভাবে উত্তর পশ্চিম ভারত থেকে লোক পাঠানো হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সুভাষ বসুর মতোই আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করেছেন যার নাম তৃণমূল কংগ্রেস
- আমাদের মাথার ওপর অন্য রাজ্যের নেতারা এসে বসবেন, শাসন করবেন আর তারা বলবেন রবীন্দ্রনাথের জন্ম বোলপুরে, আদিবাসীর গলায় মালা দিয়ে বলবে বিরসা মুণ্ডার গলায় মালা দিয়েছে
- খোঁজ নিয়ে দেখুন, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার দিন ভাটপাড়ায় উল্লাস হয়েছিল
- যখন আমরা বাংলাকে আন্তর্জাতিক সূত্রে বাঁধতে চাইছি তখন বাংলা ও বাঙালিয়ানার সার্বিক অবক্ষয় হচ্ছে
- কেউ যদি এসে আমাদের বাঙালি মনীষীদের অপমান করেন বাঙালিরা তাদের ছেড়ে দেবে না
- যে সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, তা ভয়ংকর