রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

অধীর চৌধুরীকে জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে জোরাল দাবি উঠেছে কংগ্রেসে

November 21, 2020 | 2 min read

ছবি: ফাইল চিত্র

বাম-কংগ্রেস জোটের মুখ হিসেবে অধীর চৌধুরীর নাম ভাসিয়ে দিতে চাইছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, অধীর চৌধুরীকে জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে জোরাল দাবি উঠেছে কংগ্রেসের অন্দরে। আর এই দাবির পক্ষে রয়েছেন নেপাল মাহাত, ঋজু ঘোষাল এমনকি আবদুল মান্নান‌ও। তবে সিপিএম এখনও এনিয়ে সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেয়নি। জোটের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতেই এখন আগ্রহী তারা। প্রশ্ন উঠছে, কংগ্রেস এমন দাবি করলে কি সিপিএম মেনে নেবে?   

প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ঋজু ঘোষাল জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন,”আমাদের দলের তৃণমূলস্তর থেকে দাবি উঠছে। সাধারণ মানুষও চাইছেন অধীর চৌধুরীকে। জাতীয়স্তরে তাঁর জনপ্রিয়তা। গোটা দেশের মানুষ চেনেন। অধীর চৌধুরী মুখ হলে জোটকে ডিভিডেন্ড দেবে। তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা বিজেপির দিলীপ ঘোষকে মোকাবিলা করতে হলে সেরা বিকল্প অধীরই।” 
এনিয়ে কি সিপিএমের সঙ্গে কি কথা হয়েছে? ঋজু ঘোষালের কথায়,”বামেদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কথা হয়নি এখনও। তবে অধীর চৌধুরীকে মুখ করলে সাফল্যের হার বাড়তে পারে বলে আমাদের মনে হয়েছে। বামেদের জ্যোতি বসু বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মতো জনপ্রিয় মুখ নেই। এমন একটা মুখ চাই যার জাতীয়স্তরে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই টক্করটা দিতে পারবেন অধীর চৌধুরী। এটা আমাদের কথা নয়, তৃণমূলস্তরে দাবি উঠছে। কংগ্রেস করে না বা অনেকে কংগ্রেসকে ভোট দেয়, সেরকম বহু মানুষই চাইছেন।”

বাম-কংগ্রেস জোটের মুখ অধীর চৌধুরী। এর পাশাপাশি আসন সমঝোতায় অর্ধেক ভাগ চাইছে কংগ্রেস। ঋজু ঘোষালের কথায়,”গতবার ভোটের হার দেখলে কংগ্রেসের অর্ধেক আসন পাওয়া উচিত।”

মঙ্গলবার সিপিএম-কংগ্রেস বৈঠকের পর ফের কংগ্রেসের অভ‍্যন্তরে এই দাবি ওঠায় স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তিতে আলিমুদ্দিন। বিষয়টিকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বলেন,”না, না। ওসব দাবি ঠিক নয়। কে বলল? কংগ্রেসের কোনও মুখপাত্র বলেছে কি? আমার সঙ্গে তো অধীর চৌধুরীর কথা হয়েছে।”

২০১৬ সালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল বাম-কংগ্রেস। আনুষ্ঠানিকভাবে জোট নয়, বরং সমঝোতা হয়েছিল। ভোটে হারের পর থমকে যায় জোট প্রক্রিয়া। এরপর ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে আবার কথা শুরু হয় দুই শিবিরের। তবে আসন বণ্টন নিয়ে কংগ্রেস অনড় থাকায় ভেস্তে যায় সংলাপ। ভোটের ফলপ্রকাশের পর ১৮ আসন নিয়ে রাজ্যে প্রধান বিরোধী হিসেবে উঠে আসে বিজেপি। কংগ্রেস-সিপিএমের ভোটে নামে ব্যাপক ধস। তারপরই জোটকে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে জোর দেয় সিপিএম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। একসঙ্গে সভা-সমাবেশ থেকে বিধানভবনে সিপিএম নেতাদের যাওয়া- সবই চলেছে মসৃণ জোটের লক্ষ্যে। ভোটের কয়েক মাস আগে সেই পথই কি এবার রাজনীতির ভুলভুলাইয়ায়?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal Assembly Elections 2021, #west bengal congress, #Adhir Ranjan Chowdhury, #Cpim

আরো দেখুন