‘লাভ জেহাদ’ ইস্যুতে বিজেপিকে চাঁচাছোলা আক্রমণ নুসরতের
লাভ জেহাদ’ (Love Jihad) রুখতে তৎপর দেশের বিজেপি শাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকার। এই মর্মে নয়া আইন আনতে চলেছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে। গেরুয়া শিবিরের এই সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত সমালোচনায় সরব উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের তারকা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান।
শনিবার কলকাতায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানেই বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান অভিনেত্রী-সাংসদ। গেরুয়া শিবিরকে ‘বিষ’ বলে কটাক্ষ করেন নুসরত (Nusrat Jahan)। ‘লাভ জেহাদ’ রুখতে তৎপরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। লাভ এবং জেহাদ কখনও এক হতে পারে না। ভালবাসা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। আমি কাকে ভালবাসব তা নিয়ে কারও কিছু বলার থাকতে পারে না। বিজেপিকে (BJP) আমার একটাই পরামর্শ তারা আগে ভালবাসা যে ব্যক্তিগত সে সম্পর্কে বুঝুক। তাদের ভালবাসতেও শেখা উচিত।”
ধর্মীয় ভেদাভেদের কথা মাথায় না রেখে নিখিল জৈনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন নুসরত। বিয়ের পর প্রথমবার সংসদে যাওয়ার সময় তাঁর মাথায় সিঁদুর এবং মঙ্গলসূত্রও পরতে দেখা যায়। আর তারপর থেকেই হিন্দুত্ববাদীদের রোষানলে পড়েন তিনি। শুধু তাই নয় রথযাত্রার সময় রশিতে টান দেওয়ার ফলেও কটাক্ষ শুনতে হয় তাঁকে। তারকা সাংসদের এ প্রসঙ্গে বক্তব্য, “আমি যখন মাজারে যাই তখন তা নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যথা থাকে না। এমনকী কোনও সংবাদমাধ্যমেও তা প্রকাশিত কিংবা প্রচারিত হয় না। কিন্তু আমি যখন কোনও হিন্দুদের অনুষ্ঠানে অংশ নিই তখন তা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। আমি নুসরত। আমি বাঙালি মুসলমান পরিবারের মেয়ে। তবে আমি ধর্মনিরপেক্ষ। আমি প্রথমত একজন বাঙালি। আমরা ধর্মনিরপেক্ষভাবে সকলকে ভালবাসতে পারি। আর এটা কোনও ভুল নয়।” বসিরহাটের সাংসদের পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও গেরুয়া শিবিরের তরফে পাওয়া যায়নি।