রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কেন্দ্র হাত তুলে নিলেও জুন অবধি বিনামূল্যে রেশন দেবে রাজ্য

November 22, 2020 | 2 min read

গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরাট জয়ের পিছনে রেশনের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক মানুষকে ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্তের বড় ভূমিকা ছিল। মাস্টার স্ট্রোকটি ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। রাজ্য সরকারের খাদ্যসাথী (Khadya Sathi) প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে রেশনে  খাদ্যশস্য দেওয়া আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে উঠতে চলেছে। এর কারণও আছে।  প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে কেন্দ্র  অতিরিক্ত যে খাদ্যসামগ্রী জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকদের গত অনেকদিন ধরে বিনামূল্যে দিচ্ছিল তার মেয়াদ চলতি নভেম্বরেই শেষ হচ্ছে। কিন্তু রাজ্য নিজ খরচে বিনামূল্যে রেশন (Ration) গ্রাহকদের যে খাদ্য সরবরাহ করছে তা আগামী জুন পর্যন্ত চলবে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, এতেই প্রমাণ প্রধানমন্ত্রী পারলেন না আর মুখ্যমন্ত্রী  করে দেখিয়ে দিলেন। আগামী ভোটের প্রচারে বিষয়টি তাঁরা তুলে ধরবেন। জানালেন খাদ্যমন্ত্রী। এটা বড় ইস্যু হতে চলেছে। 

রেশন গ্রাহকদের বিনামূল্যে চাল-গম দিতে রাজ্য মাসে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পটি বন্ধ হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যের মানুষ রেশনে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পাবেন না। এরাজ্যে রেশন গ্রাহকদের নির্ধারিত পরিমাণ বরাদ্দের জন্য আগামী জুন পর্যন্ত কোনও টাকা দিতে হবে না। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প ও ১ নম্বর রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকরা মাসে মাথাপিছু ২ কেজি করে চাল ও ৩ কেজি করে গম পাবেন। ২ নম্বর খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকরা মাথাপিছু ১ কেজি চাল ও ১ কেজি গম পাবেন।  রাজ্যে এখন রেশন গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ৩৮ লক্ষ। এর মধ্যে প্রায় ৯ কোটি রেশন গ্রাহক জাতীয় ও ১ নম্বর রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় পড়েন। নভেম্বরের পর থেকে জাতীয় প্রকল্পের গ্রাহকরা মাসে মাথাপিছু ৫ কেজি করে অতিরিক্ত চাল-গম ও পরিবারপিছু ১ কেজি যে ছোলা পাচ্ছিলেন তা বন্ধ হয়ে যাবে।

খাদ্যদপ্তর সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় প্রকল্পটি রাজ্যে একটু পরে শুরু হওয়ায় ডিসেম্বরে জাতীয় প্রকল্পের কিছু গ্রাহককে ওই অতিরিক্ত খাদ্য দেওয়া যেত। কিন্তু কেন্দ্রের যা বরাদ্দ রয়ে গিয়েছে তা দিয়ে জাতীয় প্রকল্পের ৬ কোটি গ্রাহকের সবাইকে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ওই বরাদ্দ আর নেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের সরবরাহ করা খাদ্য কত গ্রাহক সংগ্রহ করছেন সেটার উপর বিশেষ পোর্টালের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক নজর রাখে।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় প্রকল্পটি  নভেম্বরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানান, মানুষের অর্থসঙ্কটের কথা ভেবে মার্চ পর্যন্ত গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা চালু রাখতে প্রধানমন্ত্রীকে তাঁরা চিঠি দেন। এমপি সৌগত রায়ও তারপর প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। তবু প্রকল্পটির মেয়াদ কেন্দ্র বাড়ায়নি। যদিও কেন্দ্রের খাদ্য ভাণ্ডারে বিপুল পরিমাণ চাল ও গম রয়েছে। চলতি খরিফ মরশুমে গতবারের তুলনায় বেশিই ধান সংগ্রহ হচ্ছে বলে কেন্দ্র জানিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Ration

আরো দেখুন