করোনা চিকিৎসায় ‘রেমডিসিভির’ ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
করোনা চিকিৎসায় বড়সড় ধাক্কা। গিলেড সায়েন্সেসের সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিন রেমডিসিভিরের (Remdesivir) ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’। তাদের একটি প্যানেল জানিয়ে দিয়েছে, করোনার চিকিৎসার জন্য রোগীদের ‘রেমডিসিভির’ দেওয়া যাবে না। কারণ এই ওষুধ ব্যবহারে করোনায় মৃত্যুর হার কমেছে বা রোগীদের ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন কমেছে বলে এমন কোনও কোনও প্রামাণ্য তথ্য নেই।
এর আগে করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন হিসেবে উঠে এসেছিল রেমডিসিভিরের নাম। কিন্তু শুক্রবার বিবৃতি জারি করে ‘হু’ জানিয়ে দিল, রেমডিসিভিরের নাম করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ওষুধে করোনা রোগীদের সংক্রমণ কমছে না। উল্লেখ্য, বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের ১১ হাজার ২৬৬ জন রোগীর উপর সমীক্ষা চালানোর পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে WHO।
যদিও এর আগে মার্কিন গবেষকরা দাবি করেছিলেন, অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির (Remdesivir) মানব শরীরে নোভেল করোনা ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি রুখতে সাহায্য করছে। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি ছিল, এই ওষুধ রোগীর ফুসফুসে সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে। ফলে, করোনা রোগীদের মৃত্যুর হার কমে। এরপর বিশ্বজুড়ে অনেক জায়গাতেই এই অ্যান্টি–ভাইরাল ড্রাগটি ব্যবহার করা হচ্ছিল। চারিদিকে যখন করোনা নিয়ে ত্রাহি ত্রাহি রব, তখন এই রেমডেসিভির সাড়া ফেলেছিল গোটা বিশ্বে। তবে এই ওষুধ ব্যবহার নিয়ে গোড়া থেকেই নানা তর্ক–বিতর্ক ছিল। এমনকী এই ওষুধ বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিকিৎসাতেও ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে এবার ‘হু’ জানিয়ে দিল আর এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না।
উল্লেখ্য, এর আগে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার নিয়েও বিস্তর আপত্তি তুলেছিল WHO। গোটা বিশ্বের চিকিৎসকরা যখন হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় বলে দাবি করছিলেন, তখনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। WHO জানায়, এই ওষুধটি ব্যবহার করলে রোগীদের তেমন সুবিধা হয় না। উলটে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক। পরে আবার নিজেরাই এই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে এবার রেমডিসিভিরের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল WHO।