← রাজ্য বিভাগে ফিরে যান
সংবিধান মেনে তৈরি হওয়া প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়ছে – তৃণমূল
আজ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখো হন লোকসভার সাংসদ ও বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সৌগত রায় । কেন্দ্রের বিজেপির ভারতের একদল-এক শাসন-এক ভাষা করার নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সকল শ্রেণীর মানুষকে সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদের আহ্বান জানান তিনি।
তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ-
- কেন্দ্রের বিজেপি ভারতের এক দল, এক শাসক, এক ভাষার ব্যবস্থা করতে চায়, তার বিরুদ্ধে বাংলা উজ্জ্বল ব্যতিক্রম
- সামনেই বাংলার নির্বাচন যা দেশের ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একজন নেত্রী যিনি দেশের সব ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে এক করতে পারেন
- দেশে যা হচ্ছে সেটা আমাদের পক্ষে চিন্তার
- আমি এতদিন রাজনীতি করছি, রাজনীতির মান এত নিচে নেমে যেতে কখনো দেখিনি
- সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন ভারতে যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠেছিল সেগুলো সব ভেঙে পড়ছে। সুপ্রিম কোর্ট, সিবিআই, রাজ্যপাল সব এই অবনমনের অংশ
- আমরা চাই দেশের মানুষ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াক
- কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্ব কেন্দ্রে ও রাজ্যের নিজেদের সরকার চায়
- কিছু কিছু রাজ্য সরকার বিজেপিকে অনুসরণ করছে, অন্ধ্র, ওড়িশা এদের কথা বলছি
- কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কর্ণাটক ও মধ্যপ্রদেশে যেভাবে সরকার গঠন করেছে সেটা বাংলায় হবে না
- কেন্দ্রের বিজেপি বাংলা বিজেপির অন্তঃকলহে ক্লান্ত ও বিরক্ত তাই তারা এখনও ওনারা মমতার সমান্তরাল একটি মুখ ঠিক করতে পারেনি। তাই বাইরে থেকে পর্যবেক্ষক নিয়ে এসেছে। এদের মধ্যে একজন দিল্লি বিজেপির আই টি সেলের প্রধান তার নাম নিতে চাই না, ফেক নিউজ দিতে ও ভুল খবর ছড়ানোয় ইনি পারদর্শী
- আমাদের আশঙ্কা ওরা রাজ্যে বিভাজনে উৎসাহ দেবে ফলে রাজ্যে শান্তি থাকবে না
- আমরা এ রাজ্যে অনেক রাজ্যপাল দেখেছি, যারা রাজপাল পদের মর্যাদা বাড়িয়েছেন, অথচ বর্তমান রাজ্যপাল
- কেন্দ্রের শাসক দলের মত কাজ করছেন নিয়মিত টুইট, সংবাদ মাধমকে বিবৃতি দিচ্ছেন, প্যানেল ডিসকাসনে অংশ নিচ্ছেন। রাজ্যপাল নামের প্রতিষ্ঠান টি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে
- কেন্দ্রের সরকার অর্থনীতিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। অর্থনীতির গড় বৃদ্ধির হার ঋনাত্মক। মুদ্রা স্ফিতি ও বেকারি বেড়ে গেছে
- কেন্দ্রীয় সরকার পরিযায়ীদের জন্য কোন ব্যবস্থা করেন নি
- এমন কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি যাতে অর্থনীতিকে উন্নত করা যায়
- উপরন্তু রাষ্ট্রের সম্পত্তি বিক্রি করে দিচ্ছে যেমন এয়ার ইন্ডিয়া, ভারত পেট্রোলিয়াম, কয়লায় ১০০ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে
- প্রতিরক্ষা শিল্প কে কর্পোরেটস করেছেন, এই পদক্ষেপ জনবিরোধী ও শ্রমিকবিরোধী
- ২০২২ এর মধ্যে ওরা বলেছে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করবে, যে গতিতে এগোচ্ছে ২০২৮ এর আগে হবে না
- ২০১১-২০ র মধ্যে বাংলায় কৃষকের আয় হয়েছে ৩ গুন হয়েছে
- সাম্প্রতিক সময়ে ওরা যে কৃষি আইন পাস করেছে তাতে কৃষকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, এছাড়া এই ৩ টে আইন ভোটাভুটি ছাড়াই সংসদে পাশ করেছে আমাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও।কৃষক আন্দোলন হচ্ছে, পাঞ্জাবে তাই দীর্ঘদিন ট্রেন বন্ধ ছিল
- শিল্প সম্পর্কিত যে বিল পাস করেছে, তাতে আগের আইন কে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে, এবং এই আইন শ্রমিকের স্বার্থ বিরুদ্ধ
- কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জনবিরোধী, শ্রমিক বিরোধী ও কৃষক বিরোধী, তাদের বিরুদ্ধে সারা দেশের মানুষকে প্রতিবাদ করতে হবে
- আম্পানে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কেন্দ্রকে তা জানিয়েছে রাজ্য, ইতিমধ্যেই রাজ্য ৬২৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে, কেন্দ্র দিয়েছে মাত্র ৩৭০৭ কোটি টাকা
- কোভিডের জন্য রাজ্য সরকার সীমাবদ্ধ ক্ষমতা থেকে ১২০০ কোটি টাকা খরচ করেছে
- কেন্দ্রের থেকে আমরা ৫০,০০০ কোটি টাকা খাই
- বিভিন্ন প্রকল্প বাবদ ৩৬০০০ কোটি টাকা
- ডিভোলিউশন অফ ফান্ড বাবদ ১১০০০ কোটি টাকা
- ভর্তুকি খাতে ৩০০০ কোটি
- রাজ্য খুব অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তা সত্ত্বেও নিয়মিত পেনশন মাইনে চলছে
- কেন্দ্রের এই নিতি র বিরুদ্ধে তৃণমূল আরও সোচ্চার হবে
- যেভাবে কেন্দ্র পুজিপতিদের সাহায্য করছে তার প্রতিবাদ করব আমরা
- বাংলা সরকার প্রাণপনে মানুষের দুর্দশা মেটাতে চেষ্টা করছে, রাজ্যের মানুষ এগিয়ে আসুক, আমাদের পাশে থাকুক
বাংলায় ১.২৫ কোটি হিন্দিভাষীদের বাস। সেই ভাষার মানুষদের সমস্যা আরও দ্রুত সমাধানের জন্য হিন্দি সেলের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ বিবেক গুপ্ত। আজ রাজ্যের সমস্ত জেলায় দলের নানা কর্মসূচির কথা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন যে বাংলায় তাঁরা যে ভাষায় বলেন না কেন , তারা বাঙালি। তারা রাজ্যের প্রতি প্রান্তের হিন্দিভাষীদের সঙ্গে সংযোগ বাড়াবেন। তাঁদের সমস্যা আরও দ্রুত সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে সমাধানের জন্য।