কলার ‘ইমিউনিটি বুস্টিং’ মাফিন বাড়িতেই
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, খেতে হবে এমন খাবার। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ প্রত্যেকেই বলছেন সুষম আহারের কথা। কিন্তু মাঝে মাঝে তো স্বাদ বদলের ইচ্ছে হয়। ফল শাকসব্জিতে আছে ভরপুর পুষ্টি। এদিকে ফল বিশেষ করে কলা খেতে অনেকেই একেবারে পছন্দ করেন না।
এদিকে চকোলেট মাফিন (Muffin) বললেই মনে হয়, খেতেই হবে। তাই আজকে রইল কলা (Banana) দিয়ে তৈরি একটা মাফিনের রেসিপি। এতে শুধু কলাই নয়, ব্যবহার করা হয়েছে ওটসও (Oats)। কলায় রয়েছে পটাসিয়াম যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কলা এমন একটি ফল, যা পেট ভরায়, পুষ্টিগুণ (Nutrition) জোগায়, শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে (Immunity) বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। কলার সঙ্গে এই পদে ব্যবহার করা হয়েছে ওটস। ভিটামিন, মিনারেলস (ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, তামা, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি), অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর ওটস। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়াও প্রোটিন, কার্বহাইড্রেট ও সামান্য ফ্যাটও রয়েছে এতে যা শরীরের জন্য জরুরি। দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে ‘ইমিউনিটি বুস্টিং’ এই মাফিন বানানো যেতে পারে।
উপকরণ
অলিভ অয়েল বা গলানো মাখন- আধ কাপ
মধু বা গুড়- আধ কাপ
ডিম- ১টি
কলা- ৩টি
দুধ- আধ কাপ
বেকিং সোডা- এক টেবিল চামচ
নুন- হাফ চা চামচ
দারচিনি গুঁড়ো- আধ চা চামচ
ওটসের গুঁড়ো- এক কাপ
চকলেট চিপস, ড্রাই ফ্রুটস (কাজু, কিসমিস, কাঠবাদাম)-এগুলি ব্যবহার নাও করতে পারেন
প্রণালী
প্রথমে ওভেনকে ৩২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট (১৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) প্রি-হিট করে নিতে হবে।
মাফিন কাপ নিতে হবে মাফিন ট্রের উপরে।
অন্য একটা পাত্রে তেল বা মাখনের সঙ্গে মধু বা গুড় মিশিয়ে নাড়তে হবে।
তারপর ডিম দিয়ে মিশিয়ে যেতে হবে।
তিনটি কলার পেস্ট ও দুধ দিয়ে আবারও মিশ্রণটিকে ভাল করে নেড়ে যেতে হবে যতক্ষণ না মসৃণ হচ্ছে।
বেকিং সোডা, নুন, দারচিনির গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে নেড়ে এরপর ওটসের গুঁড়ো মেশাতে হবে।
এপর চাইলে চকোলেট চিপস বা ড্রাই ফ্রুটস যোগ করতে পারেন।
মিশ্রণটি একেবারে তৈরি হয়ে গেলে সেটি মাফিন কাপে ঢেলে দিতে হবে।
কাপের দুই তৃতীয়াংশ যেন ভর্তি হয়, বাকিটা ফাঁকা থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
ওপরে অল্প একটু ওটস ও চকোলেট চিপস ছড়িয়ে ২২-২৫ মিনিট বেক করতে হবে এটি।
এরপর একটা টুথপিক বা ফর্ক মাফিনের মধ্যে ঢুকিয়ে সেটার গায়ে যদি কিছু লেগে না থাকে, বুঝতে হবে বানানা ওটস মাফিন তৈরি।
চাইলে গরমও খেতে পারেন বা রেফ্রিজারেটরে রেখে পরেও খাওয়া যেতেই পারে সকালের জলখাবারে কিংবা সন্ধ্যার স্ন্যাক্সে।