মমতা সরকারকে খোঁচা রাজ্যপালের, টুইটে উত্তর স্বরাষ্ট্র দফতরের
দুপুরে কালিম্পংয়ে সাংবাদিক বৈঠকের আগেই বুধবার সকালে রাজ্য সরকার ও পুলিশ–প্রশাসনের বিরুদ্ধে টুইট–আক্রমণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। বর্তমান এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে পুরনো মামলার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি। এই মামলার তদন্তে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ এবং রিনা মিত্রের ভূমিকা কী তা নাম উল্লেখ করে জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল।
কিন্তু কোন মামলার কথা বলছেন রাজ্যপাল? পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ওয়াকিবহল মহলের দাবি, ২০০৭ সালে রিজওয়ানুর রহমানের অপমৃত্যুর মামলায় নাম জড়িয়ে গিয়েছিল জ্ঞানবন্ত সিংয়ের। তবে চার্জশিটে কলকাতা পুলিশের তৎকালীন ডিসি (সদর) জ্ঞানবন্ত সিংয়ের নাম না–রেখে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করেছিল সিবিআই। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই তদন্ত কত দূর এগিয়েছে সে ব্যাপারে এদিন জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল।
অবশ্য এ ব্যাপারে এদিনই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফ থেকে টুইটের মাধ্যমেই উত্তর দেওয়া হয়েছে। টুইটে এদিন পরিষ্কার জানানো হয়েছে, আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও ‘তদন্ত’ মুলতুবি নেই। রাজ্যপালের নাম না করে এদিনেই টুইটে স্বরাষ্ট্র দফতরের বক্তব্য, ‘সরকারি আধিকারিকদের ভূমিকা ও দায়িত্ব নিয়ে টুইটারের মাধ্যমে বিভিন্ন মহল থেকে বারবার প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। জানা উচিত, প্রশাসন চালানোর ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সততার প্রতি বদ্ধপরিকর পশ্চিমবঙ্গ সরকার।’
যদিও রাজ্যপাল এদিন পরপর তিনটি টুইটে রাজ্যের পুলিশ–প্রশাসনকে একইভাবে আক্রমণ করে বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে আমলে বিভিন্ন নিয়ম ভাঙছে পুলিশ। তাঁরা সংবিধানের আওতার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন এবং আইনের নিয়ম নিয়ে খেলছেন। নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে বলে মনে করা অত্যন্ত হতাশাজনক। আইন লঙ্ঘনকারীদের বাঁচানোর জন্য দল তৈরি করা গুরুতর অপরাধ।’
একইসঙ্গে এদিন বাংলার কৃষকরা রাজ্য সরকার উদাসীনতার জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা কেন্দ্রের দেওয়া ১২ হাজার টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাচ্ছেন না। এভাবে রাজ্যের কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে মোট ৮৪০০ কোটি টাকা।’ উল্লেখ্য, এর আগেও রাজ্যের মানুষ যে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তা নিয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।