ফিগার জিরো করতে জিরা
শরীরের মেদ (Fat) নিয়ে চিন্তা করে না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। যারা স্বাস্থ্য সচেতন (Health Conscious) তারা তো বটেই, আর যারা শুকনো ধরনের তারাও যাতে মোটা না হয়ে যান সেজন্য শরীরের মেদ নিয়ে ভাবেন। কেননা দেহে মেদ জমলে দেখতে খারাপ দেখায় এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বটেই। তাই এই মেদ দূর করার চেষ্টা অনেকে অনেক দিন ধরে করে থাকেন। কিন্তু কাঙ্খিত ফলাফল মেলে না।
তবে এবার আপানাদের জন্য সুখবর হলো আপনি চাইলে অতি সহেজে জিরা (Cumin-seed) খেয়ে মেদ ঝরিয়ে শরীর একবারে ঝর ঝরে করে নিতে পারেন। এই মশলার ব্যবহার খাবারে নিয়মিত করতে পারলে এই জমে থাকা মেদ সহজেই দূর হবে। মোটেই চিন্তা করবেন না। এর দাম খুব বেশি নয়। জিরার নাম শুনে একটু অবাক হওয়ারই কথা।
কিন্তু অবাক হলেও এটিই যে সত্যি, জিরা দেহের মেদ কমাতে দারুন কার্যকর। Apiaceae শ্রেণীর এই জিরা আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে ভালই রান্না হয়।
এই গবেষণায় মহিলাদের দুটি দলের উপরে গবেষণা চালানো হয়। যেখানে একটি দলের মহিলাদের প্রতিদিন দুপুর ও রাতে খাবারে দইয়ের সাথে মিশ্রণ করা হয় ৫ গ্রাম জিরা।
এরপর দুটি দলকেই পুষ্টিবিদদের পরার্মশে এই জিরা মেশানো দইয়ের পাশাপাশি কম ক্যালোরির খাবার খেতে বলা হয়। এরপর দেখা যায়, জিরা মেশানো দই প্রাপ্ত দলটি ওজন কমিয়েছেন প্রায় ৫ পাউন্ড। সেই সাথে কোমরের আকার কমে গেছে, বডি ম্যাস ইনডেক্স অনুসারে দেহের ওজন কমে এসেছে, ফ্যাট কমে গেছে এবংকোলেস্টেরল এর মাত্রাও কমে গেছে। অনেকের মনে হতে পারে, কেন এতো মশলা থাকতে ওজন কমাতে সহায়ক হবে?
এর কারণ হিসেবে গবেষকরা জানাচ্ছে. অন্যন্যা ঝাল ধরণের মশলার মতো জিরা অস্থায়ীভাবে দেহের মেটাবেলিক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আমরা সবাই জানি মেটাবোলিক ক্ষমতা বাড়িয়ে গেলে এবং হজম ক্ষমতা ঠিক থাকলেও খাবার হজম হয়ে পুষ্টি দেহে শোষণ হতে সহায়তা করে থাকে এবং দেহে মেদ জমতে পারেনা। আর ঠিক একারণেই জিরা আমাদের দেহে মেদ জমার হার কমায় ও আমাদের ওজন কমাতে থাকে।
আপনি যে কোন খাবারের সাথে জিরা ব্যবহার করতে পারেন। প্রথম দিকে একটু স্বাদে সমস্যা হলেও ধীরে ধীরে স্বাদ ঠিক হয়ে আসবে এবং সেই সাথে দেহের মেদ কমতে শুরু কররে। তাই আপনি চেষ্টা তো একবার করে দেখতে পারেন। তবে জিরা সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা থাকলে আপনার দেহে এই পদ্ধতি আপনার জন্য কতটা কার্যকর তা জানতে ডাক্তারের পরর্মশ নিতে পারেন।