ডিসেম্বর থেকে বাংলায় সবাই এবার স্বাস্থ্যসাথীর আওতায়
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)৷ এবার থেকে রাজ্যের সব পরিবারকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে৷ তবে অন্য কোনও সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার আওতায় থাকলে এই সুবিধে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে এই ঘোষণা কার্যকর করা হবে৷
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সাড়ে সাত কোটি মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় আছেন৷ রাজ্যের আরও আড়াই কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যের প্রতিটি পরিবারকেই স্বাস্থ্য সাথীর স্মার্ট কার্ড (Smart Card) দেওয়া হবে৷ স্বাস্থ্য সাথীর স্মার্ট কার্ড দেখালে বেসরকারি হাসপাতালেও ক্যাশলেস চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে৷ প্রতি বছর পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যাবে এই প্রকল্পে৷
স্মার্ট কার্ডের মধ্যে পরিবারের প্রত্যেকের নাম থাকবে৷ ১ ডিসেম্বর থেকে দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাবে৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রায় দেড় হাজার হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের (Swasthya Sathi Scheme) আওতায় নথিভুক্ত আছে৷ সরকারি হাসপাতালে তো বিনা পয়সাতেই চিকিৎসা হয়, বেসরকারি হাসপাতালেও বিনা পয়সায় চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যাবে৷ পাশাপাশি ভেলোরের হাসপাতালগুলি, এইমস-এর মতো হাসপাতালেও এই কার্ডের সুবিধে পাওয়া যাবে৷’
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই পরিষেবা দিতে প্রতি বছর রাজ্যের ২০০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে৷ তিনি বলেন, ‘এই পরিষেবা আমাদের রাজ্যে সামাজিক সুরক্ষায় নতুন মুকুট যুক্ত করল৷ সরকার যখন দু’ মাস ধরে দুয়ারে দুয়ারে ক্যাম্প করবে তখন একদিন গিয়ে নাম লিখিয়ে আসুন৷ যেদিন কার্ড নিয়ে আসতে বলবে গিয়ে নিয়ে আসবেন৷’ সমাজের সবস্তরের মানুষই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধে পাবে৷ রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প গোটা বিশ্বেই নজির সৃষ্টি করেছে বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি দাবি করেন, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে ষাট শতাংশ টাকা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তাঁর প্রশ্ন, বাকি চল্লিশ শতাংশ টাকা কি জনগণ দেবে?