কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করুক পুলিশ: তৃণমূল

November 26, 2020 | 2 min read

বাংলার রাজ্যপাল যে গোবিন্দ আগরওয়ালের পক্ষে সওয়াল করছেন, সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনেক অর্থনৈতিক অভিযোগ আছে, আজ সাংবাদিকদের জানালো তৃণমূল। আজ তৃণমূল ভবনে বেলা দেড়টায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়।

২২ নভেম্বর ধানকর টুইট করে গোবিন্দ আগরওয়াল এবং আরো কিছু সি এ কে অ্যারেস্ট করার দাবি করেন। “হোয়াই ফরগেট কোর্ট , নেভের সো হাই, দ্য ল ইজ এগেস্ট ইউ।

নোটবন্দির পর ম্যাঙ্গো লেন থেকে কলকাতা পুলিশ ১ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে। তদন্তের পর উঠে আসে গোবিন্দ আগরওয়ালের নাম। আইআরএস অফিসার নিরজ সিং বিজেপির ঘনিষ্ট।

তাঁর বক্তব্য একনজরে

  • কলকাতা পুলিশের তদন্তে আয়কর দপ্তরের কর্মকর্তাদের সহ নিরজ সিং- এর গতবিধি, কোন হোটেলে স্থায়ীভাবে থাকতেন সব তথ্য বেরিয়ে আসে।
  • কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি গোবিন্দ আগরওয়াল এবং নিরজ সিং- এর বিরূদ্ধে কেস রেজিস্টার করে।
  • তাদের ৩ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্ত করে।
  • ইডির কাছ থেকে সেই তদন্তের নথি সংগ্রহ করে এবং আরো তদন্ত করে ২১ নভেম্বর কলকাতা পুলিশ গোবিন্দকে গ্রেপ্তার করে।
  • আরো অনেক সিএ- র নাম উঠে আসে।
  • একজন প্রবীণ আইআরএস অফিসারকে তদন্তে সহযোগীতা করার কথা বলা হয়।
  • কলকাতা পুলিশ খুব ভালো কাজ করছে। কালো টাকা উদ্ধার করেছে, দোষীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
  • যখন কলকাতা পুলিশকে এবং তদন্তকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। দোষীদের পক্ষে সওয়াল করছেন।
  • ২৫ নভেম্বর আবার টুইট করেন “মিসট্রি আনফোল্ডিং অন রিপোর্ট অন সেপ্টেম্বর ১ ফাইল্ড অন সেপ্টেম্বর ৯ অ্যান্ড ইটস মিডিয়া সারফেসিং অন সেপ্টেম্বর ২৬। দ্য এপিসেন্টার অ্যাক্টর প্রেজেন্টলি নট ইন সিট, ইন ফুল অপারেশন, আনমাইন্ডফুল দ্যাট ল স্পেয়ারস নান”।
  • সিবিআই-এর থেকে তথ্য পেয়ে সুদীপ্ত রায় চৌধুরিকে অ্যারেস্ট করা হয়। তার আগে ইডি বিধাননগর থানায় এফআইআর করে।
  • তদন্তে দেখা যায় সুদীপ্ত রায় চৌধুরি ২ কোটি রোজভ্যালি থেকে নেয়।
  • সবই হয় ইডির রিপোর্টে। কিন্তু রাজ্যপাল দুষছে কলকাতা পুলিশকে।
  • সুদীপ্তর নামে হিউম্যান ট্যাফিকিং, স্মাগলিং, এক্সটরশনের অভিযোগ আছে।
  • ইডি তাদের রিপোর্টে বলেছে ইডির নাম করে ফোর্সড ডকুমেন্ট তৈরি করেছে সুদীপ্ত। এতে জড়িত ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসাররাও। তারও তদন্ত চলছে।
  • রাজ্যপালের এই টুইট তাহলে কোন উদ্দেশ্যে করলেন? তিনি কেন দোষীদের পক্ষে কথা বলছেন এবং পুলিশি তদন্তে বাঁধা দিচ্ছেন?
  • রাজ্যপালের সাথে সমাজ বিরোধীদের যোগাযোগ আছে। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি আক্রমণ করছেন।
  • যারা দোষীদের সাহায্য করে তাদের বিরূদ্ধে ভারতীয় পেনাল কোর্টের ১৮৬ এবং ১৮৯ ধারায় মামলা করা যায়।
  • আমি কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করব ১৮৬ এবং ১৮৯ ধারায় রাজ্যপালের বিরূদ্ধে মামলা করতে।
  • ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট বলে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারি কোন সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।
  • ২০১৬ তে সুপ্রিম কোর্ট বলে রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী নন বা কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করতে পারেন না।
  • রাজ্যপালকে বলছি আর্টিকেল ১৬৩ পড়ুন। ১৪১ এবং ১৪৩ ধারায় রাজ্যপাল সাংবিধানিক কাজ করতে বাধ্য। রাজ্যপাল অসাংবিধানিক কাজে যুক্ত।
  • এর পরে রাজ্যপাল সম্পর্কে আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের পর্দা উল্লেখ করব।
TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#kalyan-banerjee, #Trinamool Bhavan

আরো দেখুন