আমরা বনধ সংস্কৃতির বিরোধীঃ তৃণমূল
আজ তৃণমূল (TMC) ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Bandyopaddhyay)। তিনি আজকের সিপিএমের (CPIM) কর্মনাশা বন্ধের (Bandh) বিরুদ্ধে মানুষের স্বতঃস্ফূর্তভাবে পথে নেমে জনজীবন স্বাভাবিক রাখাকে ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অতিমারির সময় মানুষের একদিনেরও আয়ের ক্ষতি হোক, এটা তৃণমূল চায় না।
তৃণমূল কেন্দ্রের আনা বিভিন্ন জনবিরোধী বিলের প্রতিবাদ করেছে রাস্তায় নেমে। কিন্তু, যাদের জন্য লড়াই, বনধ করে তাদেরই একদিনের আয় বন্ধ করার পক্ষপাতী তৃণমূল না। ২০১৪ থেকে বাংলায় একটিও কর্মদিবস নষ্ট হয়নি।তিনি বলেন, আমরা মানুষের জন্য কাজ করি, মানুষ ছাড়া উন্নয়ন হয় না। আমরা পজিটিভ চিন্তা করি, কথা বলি, কাজ করি। মানুষের জন্য কাজ করার মত আনন্দ কিছুতে নেই। বনদপ্তরের বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে তিনি বলেন, রাজ্যে গত সাড়ে নবছরে বনাঞ্চল ও সবুজাচ্ছাদন ২১.০৩% বেড়েছে। রাজ্যে দুটি নতুন ওয়াইল্ড লাইফ স্যাঙ্কচুয়ারি (Wild Life Sanctuary) হয়েছে। বাঘ, গন্ডার ও হাতির সংখ্যা বেড়েছে বিপুলভাবে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতে শকুন প্রজনন শুরু হয়েছে। মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সংঘর্ষ রুখতে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বন্যপ্রাণীর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এখন পর্যন্ত ৪৩৪ জনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে। উম্পুনে (Amphan) ক্ষতি হওয়া ১.২০ কোটি গাছের বদলে আগামী দিসেম্বরের মধ্যে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছের চারা লাগানোর কাজ শেষ হবে।
বিশদ খতিয়ান তুলে তিনি বলেন, বাঘের সংখ্যা ৭০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৬। গন্ডারের সংখ্যা ২৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৮৭। হাতির সংখ্যা বর্তমানে ৬৮৫। এছাড়া ৮০ জন শকুনকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। গন্ডারের থাকার জন্য নতুন একটি বনাঞ্চল তৈরি হয়েছে। দেশের সবথেকে পুরনো বন দপ্তরের মর্যাদা রেখে দেশের প্রথম বনাঞ্চল ঐরাবত গাড়ি তৈরি করেছে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সংঘর্ষ ঠেকাতে। সঙ্গে আছে বাইক।বনবান্ধব গ্রামগুলিকে বনসম্পদ বিক্রি হলে তার ৪০ শতাংশ টাকা তুলে দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ৩৪৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বনবান্ধব গ্রামের গ্রামবাসীদের দিয়েই কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের কাজ করানো হচ্ছে। যাতে তাদের গ্রামের উন্নয়নের পাশাপাশি আয়ও বাড়ে। সবুজশ্রী প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ৩৭.৩৭লক্ষ গাছের চারা বিলি করা হয়েছে।