রাজ্যে তপশিলিদের উন্নয়নের খতিয়ান দিলো তৃণমূল
আজ তৃণমূল ভবনে (Trinamool Bhavan) সাংবাদিক সম্মেলন করেন সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল (Pratima Mondal)। তিনি বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে বলেন, যেখানে সারা দেশে মহিলা ও দলিতরা পদে পদে অত্যাচারিত হচ্ছে সেখানে কীভাবে বাংলায় মহিলা ও দলিতদের ক্ষমতায়ণ করা হচ্ছে। নারীদের ক্ষমতায়ণের জন্য কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী, সবুজ সাথী শুরু করা হয়েছে। মহিলাদের জন্য পঞ্চায়েতে ৫০ শতাংশ, বিধানসভা ও লোকসভার মনোনয়নে ৩৩ শতাংশ নিশ্চিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
দলিতদের জন্য তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। তপশিলি জাতির জন্য উপদেষ্টা কমিটি ও কাউন্সিল গঠিত হয়েছে। মতুয়াদের জন্য বোর্ড করা হয়েছে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের প্রি-ম্যাট্রিক শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। তাদের ভাষাকেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে রাজ্যে আনা হয়েছে গণপিটুনি বিরোধী বিল। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের বার্ধক্যভাতা দেওয়া হয়েছে।
দেশে গড়ে তপশিলি জাতির বিরুদ্ধে গড় অপরাধ বেড়েছে ৭ শতাংশ। শীর্ষে আছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। সেখানে বাংলায় এই বৃদ্ধি ০.৩% শতাংশ। দেশে গড়ে তপশিলি উপজাতির গড় অপরাধ বেড়েছে ২৬ শতাংশ। শীর্ষে আছে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ। সেখানে বাংলায় এই বৃদ্ধি ১ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, এবার থেকে বাংলার সকলেই স্বাস্থ্য বীমার (Health Scheme) আওতায় আছেন। অথচ বিজ্ঞাপনে ভরা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে বিভিন্ন আবশ্যিকতা না মেটালে মেলে না সেই সুবিধা। দেশের যেখানে এখন অর্থনীতির চরম দুরবস্থা, শিক্ষার অভাব, খাদ্যের অভাব, এই সময় কি মন্দির নির্মাণের প্রয়োজন ছিল? এই টাকা শিক্ষা, স্বাস্থ্যে ব্যয় করা যেত।
বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) সময়ে প্রতি মুহূর্তে দেশের সংবিধান লাঞ্চিত হচ্ছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমাদের কি আর প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা উচিৎ? প্রশ্ন করেন তিনি। তবে, আশাবাদী হয়ে তিনি এও বলেন, বাংলাই একদিন দেশকে পথ দেখাবে। বাংলা একমাত্র ধর্মের রাজনীতি করেনা।