করোনা মোকাবিলায় নীতি আয়োগের তরফে ভূয়সী প্রশংসা পেল বাংলা
করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকেই সচেষ্ট বাংলা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর বাংলার কো-অর্ডিনেটর বা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের প্রশংসা পেয়েই থেমে থাকেনি রাজ্য সরকার। করোনা মোকাবিলায় ২০০ কোটির ফান্ড থেকে সরকারি হাসপাতালে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ সবটাই হয়েছে দ্বায়িত্বের সঙ্গে। হেল্পলাইন নম্বর ও ত্রাণ সংগ্রহের জন্য অ্যাকাউন্ট নম্বর চালু করতেও সময় লাগেনি বেশি। এবার এই বিশাল কর্মযজ্ঞের ফলস্বরূপ নীতি আয়োগের তরফে ভূয়সী প্রশংসা পেল বাংলা।
করোনা সংক্রমণের গোড়ার দিন থেকে তা রোখার প্রশ্নে রাজ্যগুলি কোন কোন ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করেছে তা নিয়ে একটি সার্বিক রিপোর্ট প্রকাশ করল নীতি আয়োগ। ওই রিপোর্টে জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শাখায় জনগোষ্ঠীর ওপরে নজরদারি এবং চিকিৎসা সামগ্রীর উৎপাদন ও তার সুষ্ঠু বিতরণ খাতে ভাল কাজ করার স্বীকৃতি পেয়েছে মমতার রাজ্য। নীতি আয়োগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা কালে সুসংহত ভাবে নজরদারি চালানোর কাজে অনেক রাজ্যের মতোই ভাল কাজ করেছে বাংলা। রাজ্য প্রশাসন করোনা সংক্রমিতদের খুঁজতে যে বিশেষ উদ্যোগ নেয়, তার প্রশংসা করেছে নীতি আয়োগ।
বলা হয়েছে, বাংলায় অন্য কোনও শারীরিক অসুস্থতার কারণে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য যাঁরা এসেছেন তাদের জ্বর, সর্দি কাশির মতো উপসর্গ না থাকা সত্ত্বেও করোনা পরীক্ষা করেছে রাজ্য প্রশাসন। এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই কিটের চাহিদা মেটাতে রাজ্য সরকার ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট হ্যান্ডলুম উইভারস কোপার্রেটিভ’ সঙ্গে হাত মিলিয়ে কিট উৎপাদন শুরু করে। এ ছাড়াও রাজ্য সরকার যে তিন কোটি মাস্ক সংগ্রহ করেছিল, তা স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, পুর ও দমকলকর্মী ছাড়াও পড়ুয়া ও একশো দিনের কাজ করা মজদুরদের হাতে তুলে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা-ও সময়োচিত বলেই মনে করে আয়োগ।