রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

নতুন সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের সিদ্ধান্ত খাদ্য দপ্তরের

November 30, 2020 | 2 min read

খাদ্য দপ্তর আরও ৭০০ জন সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগের অনুমোদন পেয়েছে। নবান্ন (Nabanna) থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন এসে যাওয়ায় এবার নিয়োগের জন্য পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে খাদ্য দপ্তর। সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) নেওয়া লিখিত ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে হয়। খাদ্য দপ্তর থেকে নিয়োগের প্রস্তাব গেলে পিএসসি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করে।

পয়লা ডিসেম্বর থেকে সাব-ইন্সপেক্টর (Sub Inspector) নিয়োগের আগের বারের লিখিত পরীক্ষায় সফল প্রার্থীদের ইন্টারভিউ শুরু হচ্ছে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) জানিয়েছেন, সাব-ইন্সপেক্টার পদে দ্রুত নিয়োগ করতে চাইছেন তাঁরা। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইন্টারভিউ নেবে পিএসসি (PSC)। জানুয়ারি মাসের গোড়াতেই সফল চাকরি প্রাপকদের তালিকা চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা আশা করছেন। তারপরই নতুন চাকরি প্রার্থীদের দ্রুত কাজে যোগদানের ব্যবস্থা করবে দপ্তর।

এখন যে ইন্টারভিউ শুরু হয়েছে তার মাধ্যমে প্রায় ৯৫০ জনকে সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ করবে খাদ্য দপ্তর। লিখিত পরীক্ষায় প্রায় তিন হাজার জন চাকরি প্রার্থী সফল হয়েছেন। তাঁরা এবার ইন্টারভিউ (Interview) দেবেন। লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সফল চাকরি প্রাপকদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হবে। মাল্টিপল চয়েসের লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বর ছিল। ইন্টারভিউতে থাকছে ২০ নম্বর।

খাদ্য দপ্তরের বিভিন্ন কাজকর্মের ক্ষেত্রে সাব-ইন্সপেক্টরদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। বাস্তবে দপ্তরের চোখ-কান হিসেবে এই কর্মীরাই কাজ করেন। রেশন ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের কাজকর্মে নজরদারি, রেশন কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া, চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা, রাইস মিলে নজরদারি, সবকিছুতেই ভূমিকা থাকে এই কর্মীদের। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে বহু শূন্যপদ আছে। মোট অনুমোদিত পদের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। কিন্তু এখন এই পদে তার এক-তৃতীয়াংশেরও কম কর্মী আছে। বছর পাঁচেক আগে প্রায় ৫০০ সাব-ইন্সপেক্টার নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁরাই মূলত এখন ওই পদে কাজ করছেন। আগে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অনেকেই ইন্সপেক্টরে পদে উন্নীত হয়েছেন। তাই সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগে একেবারেই দেরি করতে চাইছে না খাদ্য দপ্তর। এখন যাঁদের ইন্টারভিউ শুরু হবে তাঁদের তো বটে, পরবর্তী পর্যায়ের নিয়োগ তাড়াতাড়ি করতে চাইছে দপ্তর। পরবর্তী পর্যায়ের নিয়োগের ব্যাপারে খাদ্য দপ্তর প্রস্তাব পাঠানোর পর পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে পিএসসি। করোনার কারণে লকডাউন (Lockdown) পরিস্থিতি না থাকলে আগের দফায় নিয়োগ আগেই হয়ে যেত। এখন যে ইন্টারভিউ শুরু হচ্ছে, তার বিজ্ঞপ্তি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ বেরিয়েছিল। ২০১৯ জানুয়ারিতে পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষায় সফল প্রার্থীদের তালিকা লকডাউনের সময় প্রকাশ করেছিল পিএসসি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Nabanna, #Food department, #Jyotipriya Mallick

আরো দেখুন